নাজমুল হোসেন,রাজবাড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলায় শেখ সুমন সবুজ (২৮) নামের ছাত্রলীগের এক নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।বুধবার(২৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১ টার সময় সদর উপজেলার হাউলি জয়পুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার(২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাঁকে আদালতে তোলা হলে রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সুমন হোসেনের আদালতে সে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম আজিজুল ইসলাম (যুবরাজ)।সে সদর উপজেলার হাউলি জয়পুর এলাকার মোঃ আলমগীর হোসেনের ছেলে।
এর আগে সবুজ হত্যা মামলায় গোলাম মোস্তফা শেখ (৩৪) নামে অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান খান জানান,
পূর্ব শত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং ঈদকে সামনে রেখে নৌকার ব্যবসার ভাগাভাগির জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় জেলা পুলিশসহ গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।গোপন খবরের ভিত্তিতে যুবরাজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হলে তিনি বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত,গত ২৩ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের শামসুল আলম শেখের ছেলে বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ সুমন সবুজকে তাঁর বাড়িতে ঘরের মধ্যে গুলি করে ৩০-৩৫ জনের একটি দল।ওই দিনই রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সবুজ মারা যান।নিহত সবুজের বন্ধু সজীব গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সবুজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত মঙ্গলবার(২৫ এপ্রিল)বিকেলে সবুজের বাবা শামসুল আলম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪০/৪৫ জনকে আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।