পাপ্পু কুমার সরকার, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গৃহবধুকে মারধোর করার পর বিষপান করেছে বলে হাসপাতালে এনে ভর্তি করার পর মৃত ঘোষণা করে। মারা যাওয়ার কথা শুনেই হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে পালিয়েছে গৃহবধুর স্বামী ও স্বজনরা। নিহত গৃহবধুর নাম, ঝর্ণা বেগম (২৫)। সে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামের আসিফ শেখের স্ত্রী।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার আদিত্য। লাশটি উদ্ধার করে রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করেছে।
উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাহাতিমোহন গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে ও নিহতের ভাই রায়হান জানান, ২ বছর পুর্বে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় মারধোর করতো। গত বছর যৌতুকের সম্পুর্ণ টাকা পরিশোধ করে দেই। ৩-৪ মাস ভালোভাবে সংসার করে। এরপর থেকেই আবার শুধু হয় নানা ধরণের পারিবারিক কলহ।
ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকাল ৮টার দিকে আমার বোন ঝর্ণা বেগমকে তার স্বামী আসিফ শেখ বেধড়ক মারধোর করে। মারধোরের শিকার হয়ে আমার বোন ঝর্ণা বেগম বিষপান করে। পরে বাড়ীর লোকজন তাকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে আনে। তাকে ওয়াশ করে বেডে দেওয়ার পরই মারা যায়। মৃত্যুর কথা শোনার পরই হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী ও স্বজনরা।
গৃহবধু ঝর্ণা বেগমের ৫ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। মারা যাওয়ার পর আমাদেরকে খবর দেওয়া হয়। আমাদের ধারনা তাকে মারধোর করে মুখে বিষ ঢেলে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আমি আমার বোন হত্যার সুষ্টু বিচার দাবী করছি।
বালিয়াকান্দি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. জুয়েল রানা বলেন, হাসপাতালে আনার পর তাকে ওয়াশ করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীনই তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার কথা শুনেই তার স্বামী ও স্বজনরা হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল যায়। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।