লিয়াকত, রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর পবা থানার রামচন্দ্রপুর হাট পার হয়ে সারেংপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহন করে রাস্তা নষ্ট করে, পানি যাতায়াতের কালভার্টের মুখে পানির প্রবাহ বন্ধ করে পুকুরের সাথে বৈদ্যুতিক পোল ক্ষতিগ্রস্থ করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে রামচন্দ্রপুর ডিগ্রী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ রফিক হাজীর বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী জানায়,তিনি প্রায় ১০০ বিঘা আয়তনের একটি পুকুর খনন করেছেন।
এখানে ৩টি ভেকু মেশিন দিয়ে দিন রাত দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে পুকুর খননের কাজ আবার সেই পুকুরের মাটি ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে প্রতিনিয়ত মাটি পরিবহন কর আসছেন এই রফিক হাজী।
স্থানীয় বাসিন্দা এক চায়ের দোকানদার বলেন, ধুলাবালির কারনে ঠিক মত ব্যাবসা করতে পারছিনা।
পুকুর খননের মাটি পরিবহনের ফলে মাদ্রাসার সামনের রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকা বাসীর ভাষ্যমতে রফিক হাজির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করে সেই মাটি আবার হায়ওয়ে রোড দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। ফলে কোনটা পিচের রাস্তা আর কোনটা মাটির রাস্তা বোঝার কোন উপায় নাই। পুকুর খনন করে ইটভাটায় মাটি বহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক ফলে উপজেলার অধিকাংশ পিচের রাস্তায় ভেঙে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে । রাস্তার ক্ষতি করে ট্রাক্টর যোগে ইটভাটায় যাচ্ছে মাটি। এতে লাভবান হচ্ছে পুকুর খননকারী ও ইটভাটার মালিকরা।
বর্ষার মৌসুমে এসকল রোড খানাখন্দের কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলেও জানান স্থানীয়বাসিন্দারা।
এ পুকুর খননের বিষয়ে রফিক হাজির নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুকুর আমার কিন্তু খননের সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চৌপুকুরিয়ার মান্নানের নিকট।
এ বিষয়ে ভেকু দালাল মান্নানের কাছে চাইলে তিনি বলেন আমি থানাসহ সকল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ পুকুর খনন করছি। থানাকে প্রতিদিন ১ টি ড্রাম ট্রাকের মাটির সমপরিমাণ টাকা দিচ্ছি আপনার যা লিখার লিখুন।
এবিষয়ে পবা উপজেলা নির্বাহি অফিসার সিমুল আক্তার এর নিকট মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
৭ views