রাঙামাটি রাজস্থলী থেকে মিন্টু কন্তি নাথ :রাঙামাটি রাজস্থলী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ টি বড় সেগুন গাছ আনুমানিক ১২০ ফুট গাছ অবৈধভাবে কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এমন কি গাছ গুলো কেটে গাছের মোতা আগুন দিয়ে ফুরানো হয় যাতে কোন চিহ্ন ও নিশানা না থাকে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,রাজস্থলী উপজেলার একমাত্র ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের সিমানার ভাউন্ডারী ওয়ালের ভিতরে ৪টি সেগুন গাছ অবৈধ ভাবে কেটে বিক্রির এমন অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গাছ কাঠার বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, সাফিউল্লাহ সিবলীর সাথে মুঠো ফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,আমার অজান্তে এতো সুন্দর বড় বড়,সেগুন গাছ কেটে সাভার করে দিয়েছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে আমি জানি না। গাছ গুলো কাঁটা হয়েছে দুই মাস আগে।আমি তদন্ত করে দেখবো কে বা কাহারা এ গাছ গুলো কর্তন করেছে।গাছ কাটার বিষয়টি হাসপাতালের এমন কি নার্স,নাইটগার্ড,ডাক্তার,আয়া কুকার দায়িত্বরত সহকারিরা মুখ খুলতে রাজি নয়। এমন কেউ কেউ বলেন, যদি আমরা আপনাদের কে বলি তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। সে জন্য আমরা মুখ খুলতে পারি না। এ বিষয়েরাজস্থলী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হাসেম মেম্বার তিনি গণমাধ্যম’কে বলেন,রাজস্থলী হাসপাতালের বড় বড় গাছ অনুমতি ছাড়া কর্তন করে বিক্রি করার কথা লোকজনের মুখে শুনে আমরা কয়েকজন রাজস্থলী হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায় হাসপাতালের বাউন্ডারী ওয়ালের সামনের অংশে অন্তত চারটি বড় বড় গাছ প্রায় (১৫/২০ ফুটের বেড়ের গাছ কেটে গোড়ার অংশ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে রাখা হয়,যাতে গাছের কোন নমুনা দেখা না যায়।প্রতিটি গাছের মূল্য প্রায় -৪০ হাজার টাকার উপরে। গাছ গুলো কর্তনের পর শিকড় পর্যন্ত কেটে মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করে রাখা হয়েছে। গাছের আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকার উপরে হতে পারে।এ বিষয়ে কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের রাজস্থলী সদর রেন্জের রেন্জ কর্মকর্তা তুহিনুর ইসলাম বলেন,গাছ কাটতে হলে সরকারি নিয়ম মেনে কাটতে হবে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো অনুমোদন না নিয়ে গাছগুলো কেটে অপরাধ করেছেন।গাছ কাটার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।এলাকাবাসীদের অভিযোগ রেজুলেশন করা ছাড়াই ব্যক্তিগত উদ্যােগে এ সব গাছ দিন দুপুরে কর্তন করে বিক্রি করা হয়েছে।যদিও নিয়ম রয়েছে বিশেষ প্রয়োজনে গাছ কাটতে হলে হাসপাতালের রেজুলেশন করে উপজেলা পরিষদের বন ও পরিবেশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের সম্মতি শেষে বন বিভাগে আবেদন করতে হয়।সে সরেজমিন যাচাই -বাচাই করে মেজেরমেন্ট ও গাছের মূল্য নির্ধারণের পর অনুমতি নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে গাছ কর্তন করে বিক্রি করার অনুমোদন দে বন বিভাগ। সরকারি নিয়ম কে তোয়াক্কা না করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে অবৈধ ভাবে গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। তবে রাজস্থলী হাসপাতালের অবৈধ গাছ কাটা কে কেন্দ্র করে রাজস্থলীতে আলোচনা সমালোচনার ঝর উঠেছে।রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএন ও) সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরকারি নিয়ম না মেনে অবৈধ ভাবে গাছ কেটেছে বলে আমি শুনেছি। বিষয় টি আমি জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি। তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন। গাছ কাটার বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জেনের সাথে আলাপ কালে তিনি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন বলে গণমাধ্যম কে জানান।