ইউনুছ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় রাজীবপুর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ, দৈনিক আমার সংবাদ ও চ্যানেল এস ও ডেইলী অবজারভার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলামের উপর হামলা করেছে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস এবং ইউপি সদস্যরা। শনিবার (২৭ আগষ্ট) দুপুর ২ টার দিকে রাজীবপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।সদর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দশ টাকা কেজি চালের অনলাইন নিবন্ধন হালনাগাদ শুরু হওয়ার পর থেকে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস, ইউপি সচিব নুরুন্নবী ও ইউপি সদস্যরা মিলে কার্ড ধারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৫০ টাকা করে দাবি করেন। ১৫০ টাকা করে না দিলে অনলাইনে নিবন্ধন করতে নিষেধ করে দেয় ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তাকে।
যারা ১৫০ টাকা দিতে নারাজ তাদেরকে অনলাইন করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি ধামকি দেয় চেয়ারম্যান, সচিব ও ইউপি সদস্যরা। পরে কার্ড ধারীদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয় ইউপি সদস্যদের সাথে। হট্টগোল দেখে যেখানে এগিয়ে যায় সাংবাদিক সহিজল ইসলাম সজল, মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রফিকুল ইসলাম। সাধারণ জনতা সাংবাদিকদের দেখে এগিয়ে এসে ১৫০ টাকার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করে। এসময় হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে ঘটনাটি ভিডিও শুরু করেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম এবং ফেজবুকে লাইভ প্রচার করে মুরাদুল ইসলাম মুরাদ। তার ভিডিও করতে দেখে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের ৪নং ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার ও শাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান মিরন মোহাসম্মদ ইলিয়াস এর হুকুমে সাংবাদিকের উপর চড়াও হোন এবং ধাক্কা দিয়ে সিড়ি থেকে ফেলে দেয়। পরে অন্যান্য ইউপি সদস্যরা একযোগে এসে এলোপাথারী মারপিট করে। মারপিট করেছে ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আবুশামা দেওয়ান, শাহ আলম, ফরিজল হক, বাবুল আক্তার, আব্দুল হাই ও মহিলা সদস্যের স্বামী মিষ্টার এবং শাহাব উদ্দিন মেম্বরের ছেলেসহ অনেকেই। তার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি ছিনিয়ে নেয় শাহ আলম মেম্বার। তিনি এখন গুরুতর আহত হয়ে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে ক্সে ভর্তি হন। পওে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপটাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।এ বিষয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ছবি ও ভিডিও ধারণ করার কারনে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। উপস্থিত শত শত কার্ডধারী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সজল, মুরাদ ভাই, দুই জন পুলিশ সদস্যের সামনে আমার উপর হামলা চালায়। কিছুদিন আগে আমি ইউনিয়ন পরিষদের দূর্নীতি অপকর্মের বেশকিছু সংবাদ প্রকাশ করেছিলাম। এরই জেরে ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মাদ ইলিয়াস এর পরামর্শে আনোয়ার ও শাহাব উদ্দিন মেম্বার প্রথমে আমার উপর আঘাত করে । পরে সব সদস্য মিলে আমাকে মারপিট করে। আজ যখন আমরা জানতে পারি কার্ড ধারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৫০ টাকা বাড়ির ট্যাক্স নিচ্ছে তখন রাজীবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদ ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রাজিবপুর সভাপতি আবব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইসহ ইউনিয়ন পরিষদে এগিয়ে যাই এবং ঘটনাটি ভিডিও করি, তখনই আমার উপর হামলা করে। রাজিবপুর থানা পুলিশ ও অন্যান্য সাংবাদিক না থাকলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলত। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। এ ঘঁনায় রাজীবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।রাজীবপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ মজাহারুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেে।