1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

রাজৈর বিচারকদের আদেশ অমান্য :জমি দখল

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

রাকিব হাসান, মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলা রাজৈর উপজেলার পূর্ব দারাদিয়া গ্রামে স্হানীয় সালিশ ও বিচারকদের আদেশ অমান্য করে স্থানীয় মোঃ আলেম হাওলাদার( ৬০) ও রানী বেগমসহ একটি প্রভাবশালী মহল জোরপূর্বক মিন্টু ফকিরের ফসলের জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এবং ঐ ফসলি জমিতে কোর্ট নোটিশ থাকা অবস্থায় আলেম হাওলাদার এএসআই মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় কিছু কলোই কেটে নেয়।যেখানে উল্লেখ আছে সম্পত্তিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখা জন্য কোন বিঘ্নিত না হয়। সেখানে কিভাবে এই কাজটি করে এএসআই মিজানুর রহমান।

এছাড়াও আলেম হাওলাদার মানুষদের ভয়ভীতি ও নিজেদের মাথা নিজেরা কাটিয়ে অন্যদের মামলার ভয় দেখিয়ে জমি দখলের পায়তারা করে চলছে।তার ভয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। আর কিছু হলেই বলে আমি আমার স্ত্রীর মাথা কেটে তোদের মামলা দিয়ে দিবো। এমনি ঘটনা করে চলছে দীর্ঘদিন যাবত। স্হায়ীও বিচারকরা উভয়ই পক্ষেকে মিমাংসা করে দিলেও তাদের কথা অমান্য করে আলেম হাওলাদার বিচারকদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এবং বিচারকদের বলে আমাকে টাকা দিলে মামলা তুলে নিবো।
স্হানীয়ও লোকজনের তথ্য অনুযায়ী জানা গেল,আলেম হাওলাদার দীর্ঘদিন যাবত নিজের মাথা নিজেরা কেটে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আলেম হাওলাদার এর ছোট ভাই লুৎফর হাওলাদার এর স্ত্রী বকুল বেগম বলে,আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরে আমি বাড়ি বাড়ি কাজ করি আর এই জমিটুকু চাষ করে আমার ছেলে মেয়ে দুমুখো খেয়ে বাঁচার চেষ্টা করে চলছি কিন্তু আমার (ভাশুর)আলেম হাওলাদার আমাকে ভয় দেখি বলে তোরে কোন জমি দিবোনা যদি তুই আমার কথা না শুনোছ আর আমি সেই ভয়ে তার কথা শুনি এবং সে বেলেট দিয়ে আমার মাথা কাটে তাঁরপর কালাম হাওলাদার নামে মামলা দেয় এই ভয়ে কালাম হাওলাদার তার দলিলকৃত জমি দলিল করে দেন আলেম হাওলাদারকে।এছাড়াও আমার ভাশুর আলেম হাওলাদার গরীব ও অসহায় মানুষদের মামলা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেয়। আমি সরকারের কাছে আলেম হাওলাদার এর বিচার চাই।
জব্বার হাওলাদার বলেন,আলেম হাওলাদারের কোন জমি নেই এখানে জমি আছে রানী বেগমের। আলেম হাওলাদার বিভিন্ন নেতা ও প্রাশাসনের ক্ষমতা দেখিয়ে সাধারণ মানুষদেরকে নিবিড়ভাবে অত্যাচার করে।
ভুক্তভোগী আসিব ফকির বলেন,আলেম হাওলাদার আমার কাছে বলে তোরা আমাকে ১০ লক্ষ টাকা দিলে তোদের মামলা আমি তুলে নিবো।এবং তোদেরকে এই জমি ক্ষেতে দিবো না এতে যদি আমার যেখানে যাওয়া লাগে আর যা করা লাগে আমার আমি তাই করবো।যদি তোদেরকে জিবনের তরে শেষ করা লাগে আমি তাই করবো।তারপরও তোদের এই জমি ক্ষেতে
দিবো না। জানোছ থানার পুলিশ প্রশাসক আমার টাকায় চলে।
এছাড়াও আসিফ ফকির ও তার পরিবার বলে আমরা প্রতিটি মুহূর্তে ভয়ের মধ্যে থাকি না জানি আমাদের কি ক্ষতি করে ফেলে।আসিফ ফকিরের মা বলেন, আমরা সরকারের কাছে বিচার চাই এই জালেম আলেম হাওলাদার এর কাছ থেকে মুক্তি চাই । আমার স্বামী বিদেশে থাকে আমি আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে একা বাসায় থাকি আমার ছেলে মেয়েরা ভয়ে কোথায় বের হতে পারে। আমারা এই জালিমের বিচার চাই।

গত ২২/১২/২০২০ তারিখে অফিস ইনচার্জ রাজৈর থানায় রানী বেগম স্হানীয়ও সালিশ ও বিচারকদের আদেশ অমান্য করে আলেম হাওলাদার এর নিদর্শনে রানী বেগম(৩২) স্হায়ীও বিচারক ও ভুক্তভোগী আসিব ফকির ও পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যেখানে ৮ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে অভিযুক্ত করা হয়। যে ৮ জনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন- রাজৈর থানার পূর্ব দারাদিয়ার গ্রামের
মৃত কামু খাঁননের ছেলে সোরাব খান (৫৫), নোয়াগাও গ্রামের মিজানুর রহমান বদর(৫০)পিং মৃত্যু বাদশা হাওলাদার, জোবাহার হাওলাদার পিং মৃত্যু গফুর হাওলাদার, কেরামত হাওলাদার (৪৫)পিং তবারক হাওলাদার, মোঃ আসিব ফকির (২৫), ও মাসুম ফকির (২৩) উভয় পিতা মিন্ট ফকির, ইমামুল হাওলাদার (৩২)ও রকিব হাওলাদার (২৪) উভয় পিতা জোবাহার হাওলাদার।
এ বিষয়ে আলেম হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে আলেম হাওলাদার বলেন,আমার জমি আমি কোলোই কাটবো। এবং মাথা কাঁটার বিষয়ে জানতে চাইলে বলে এলাকায় সকল লোক মিথ্যা কথা বলে।আমি আমার ভাইয়ের মেয়ের জমিজমা নিয়ে কাজ করি।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শেখ সাদি জানান, ঐখানে এএসআই মিজানুর রহমান অন্য একটা কাজে গিয়েছিল কিন্তু কলোই কাটার উদ্দেশ্য নয়।

Facebook Comments
১ view

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি