লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার লামচর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার ১০ নভেম্বর ২০২০ইং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, এলাকাবাসী, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীর ব্যানারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম হোসেন পাটোয়ারী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি লামচর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় বিগত ০২/০৮/২০০৮ ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করিয়া যথাযথভাবে আমার দায়িত্ব পালন করে আসিতেছে । বিগত ১৭/০৫/২০১০ ইং তারিখের লামচর বাজারে লামচর গ্রামের মরহুম শামসুল ইসলামের স্ত্রী কামরুন নাহার এর নিকট হইতে ১.৫ শতাংশ দোকানঘর ক্রয় করিয়াছিলাম। উক্ত দু’টি দোকানঘরের মধ্যে একটি দোকান বিগত ১২/০৫/২০০৭ ইং তারিখে মৃত শামছুল ইসলাম এর নিকট হইতে সাফিকুল ইসলাম (রুবেল পাটওয়ারী) ভাড়া নিয়েছিল। কিন্তু উক্ত শামছুল ইসলাম মৃত্যুবরন করার পর হইতে রুবেল পাটওয়ারী শামছুল ইসলামের স্ত্রীকে আথবা আমাকে ভাড়া প্রদান না করিয়া জোরপূর্বক দোকানটি দখল করিয়া রাখিয়াছে। বিগত কিছুদিন পূর্বে রামগঞ্জ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয় মাঠ উন্নয়নের জন্য ১৫টন গম বরাদ্দ দেন। প্রকল্প কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ সহিদ উল্যা এম.কম.সাহেব এর নির্দেশনায় আমি প্রকল্প কমিটির সেক্রেটারি হিসেবে সুচারুভাবে মাঠ উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করি।এর কিছুদিন পর রুবেল পাটওয়ারি এবং সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল কুদ্দুস ভুঁইয়া আমার কাছে উক্ত কাবিখা হইতে চাঁদা দাবি করে। উক্ত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা আমার সাথে শত্রুতা শুরু করে দেয়। বিগত কয়েকদিন পূর্বে অত্র গ্রামের ৩টি সালিশ নিয়ে আমার সাথে আবদুল কুদ্দুস ভূঁইয়া ও রুবেল পাটোয়ারী গংদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় ।
১. লামচর হাজী বাড়ির ১ টি সালিশ
২. লামচর দত্তের বাড়ির শাহাজাহানের ছেলে মানিকেদের সালিশ।
৩. লামচর গ্রামের দুলাল স্যানেটারির ছেলে রুবেলের বৌ এর সালিশ…
উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিগত ২৬/০৯/২০২০ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ১ টার সময় সি.এন.জি চালক রবিউল নামের আইডি থেকে আমার ইমুতে আমাকে প্রান নাশের হুমকি দেয় তখন আমি ঢাকা ছিলাম। আমি ঢাকা থেকে এসে উক্ত বিষয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি জি.ডি করি। জি,ডি নং ১০৫৭, তারিখ ২৯-০৯২০২০ ইং যাহা বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। এরপর আমরা ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেনি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে টিউশন ফি বাবত কত টাকা হয়েছে তা জানিয়ে দেই। কিন্তু অদ্যবধি উক্ত এসাইনমেন্ট বাবত কোনো শিক্ষার্থীর নিকট হইতে কোন অর্থই আদায় করা হয় নাই। এছাড়া আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে ইভটিজিং এ বাধা দেওয়া ও বিগত টেষ্ট পরিক্ষায় অকৃতকার্য কিছু শিক্ষার্থীকে এস.এস.সি. পরিক্ষায় ফরম ফিলাপ না করার কারনে আমার সাথে অনেকের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। প্রতিপক্ষ আবদুল কুদ্দুস ও রুবেল পাটোয়ারী গং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিগত ০৮-১১-২০২০ ইং তারিখে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মানববন্ধন করে। আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে উক্ত মানবন্ধন এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদ উল্যাহ, কো-অপ্ট সদস্য আবুল খায়ের ভূইঁয়া, অভিভাবক সদস্য আবুল বাসার শেখ, মাসুদ আলম ভূইঁয়া, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মাইনউদ্দিন ও মোঃ গোলাম মাইনউদ্দিন, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান, সাবিনা বিনতে কেয়া, দশম শ্রেণির ছাত্র ইয়াকুব হোসেন অভি, লামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সোহাগ, অভিভাবক সিদ্দিকুর রহমান, রফিক উল্যাহ মাষ্টার, আবুল কালাম, সোলায়মান ভূইঁয়া, ঝর্ণা বেগম, আবুল কাশেম ভূইঁয়া।
বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মনির আহমেদ এর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক সদস্য কাজী রায়হান, অভিভাবক কলিম উল্যাহ পাটোয়ারী, ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন পাটোয়ারী, অভিভাবক আবদুল কাদের ভূইঁয়া, নূরুল ইসলাম পাটোয়ারী, ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আলম, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং সর্বস্তরের এলাকাবাসী সহ প্রমুখ।