মহানগর আবাসিক এলাকা ও পশ্চিম রামপুরা রোডে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে মেয়র এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ফুটপাতে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মেয়র একটি নির্মাণাধীন ভবনের মালামাল ফুটপাতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ভবনটির কেয়ারটেকারকে ডেকে পাঠান। অব্যবস্থাপনার কারণে বাড়ির নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ফুটপাত দখলের দায়ে জরিমানারও নির্দেশ দেন তিনি।
মেয়র ভবনের কেয়ারটেকারকে বলেন, ‘মানুষ রাস্তা দিয়ে হাঁটবে না? এটা কি তোমার রাস্তা? এটা জনগণের রাস্তা। এটা এখানে রাখলে কেন? ভেতরে রাখতে পারলে না? ভেতরে তোমাদের জায়গা নেই? এখন সব মালামাল থানায় যাবে।’
মেয়র অপর একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে একই চিত্র দেখতে পান। সেখানেও ফুটপাত দখল করে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। পরে মেয়র সব মালামাল বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ভবনের ডেভেলপার কোম্পানি ও সাইড ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ভবনের কেয়ারটেকারদের উদ্দেশ করে মেয়র বলেন, ‘তোমরা এখানে মালামাল রেখেছ। আমার জনগণ ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারছে না। তোমাদের মালামাল গিয়ে ড্রেন নষ্ট করছে। রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। এভাবে তো চলতে পারে না।’
আকস্মিক পরিদর্শনের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ফুটপাত দখল করে এক শ্রেণির মানুষ সেখানে নির্মাণসামগ্রী রেখেছে। এতে সাধারণ মানুষকে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই শহর আমাদের সবার। আমরা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাই সচেতন না হই তাহলে শহরটার পরিবেশ আমরা সুন্দর করতে পারব না। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে হবে।
এর আগে সম্প্রতি একইভাবে তিনি মিরপুরের বেশ কিছু এলাকায় আকস্মিক পরিদর্শন করে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন স্থানে অব্যবস্থাপনা দূর করতে মূলত মেয়র এমন আকস্মিক পরিদর্শনে যাচ্ছেন। যাতে সংশ্লিষ্ট সবাই সচেতন থাকেন এবং অব্যবস্থাপনা দূর করতে সিটি করপোরেশনসহ সবাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]