অংবাচিং মারমা, রুমা,বান্দরবান (প্রতিনিধি): বান্দরবানে রুমা উপজেলা রুমাচর পাড়ায় জেলা দায়রা জর্জের স্থগিতাদেশ নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিপক্ষে বাগানে জোর পূর্বক প্রবেশ করে গাছ কাটা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বাগান মালিকের গাছ গুলো কেটে নেওয়ার ফলে প্রায়(দুই) লক্ষধিক টাকা ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভিকটিম।বান্দরবান জেলা রুমা উপজেলা ২নং সদর ইউনিয়নে রুমাচড় পাড়ায় গত ১৬ জানুয়ারি দিন দুপরে সন্ত্রাসীর কায়দায় জোর পূর্বক ও অবৈধ ভাবে প্রতি পক্ষে বাগানে ধুকে এ গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। এতেই হুমকির মূখে দিন যাপন করছেন বাগান মালিক ভিকটিম শৈমংউ মার্মা (৫০)ও তার পরিবার সদস্যরা
এতেই স্থানীরা জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে শৈমংউ মার্মা (৫০) চাষকৃত জমির মালিকানা বিরোধ চলছিল। এই জমির বিরোধ নিয়ে বান্দরবান জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা শৈমংউ মার্মা (৫০) বিপক্ষে রায় হয়।
এতে শৈমংউ মার্মা (৫০)নারাজি ও সংক্ষোব্দ হয়ে এই রায়ে বিরোধে জেলা দায়রা জর্জ আদালতে স্থগিতাদেশ চেয়ে একটি মামলা দায় করেন। এসময় জেলা দায়রা জর্জ রিভিশন মামলা নিস্পতি না হাওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বান্দরবান এর মিস সি আর - ৪৯/২০১৭ মামলার বিগত ইংরেজি ২৫/১১/২০২১তারিখে আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতাদেশ নির্দেশ করে দেওয়া হয়েছে।
ভিকটিম শৈমংউ মার্মা(৫০)অভিযোগ করে জানান, মাননীয় জেলা দায়রা জর্জ আদালত থেকে স্থগবতাদেশ প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আমার প্রতি পক্ষ প্রভাবশালী মেদুশে মার্মা (৬৯)ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি আমার সৃজিত বাগানে অবৈধভাবে ধুকিয়ে গাছ গুলো কেটে নিয়ে যায়। ওই সময় গাছ না কাটতে বাধা দিলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমার প্রতি পক্ষ মেদুসে মার্মা (৬৯) লোকজন জোর করে বাগান থেকে কেটে নেওয়ার কারনে আমার দুই লক্ষ টাকার সমপরিমাণ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং আরও বাগানে সব গাছ গুলো কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে জানান, মেদুসে মার্মার (৬৯) নেতৃত্বে তার লোকজন কর্তৃক কেটে নেয়া সেগুন গাছ গুলো আমি পরিশ্রম করে প্রায় ২৫ বছর আগে নিজ জমিতে লাগিয়ে ছিলাম।
এ প্রতিবেদক সরেজমিনে দেখা যায় রুমাচড় পাড়া থেকে ১০০ গজ দূরত্বে একটি জমিতে কেটে ফেলা বেশ কয়েকটি সেগুন গাছ পরে আছে। পরে থাকা গাছ গুলো ৩ জায়গায় বেশ কয়েকটি সেগুন গাছ পরে রয়েছে। এসব গুড়ায় কাটা হলেও তখনো ধাল গুলো কাটা হয়নি। গাছ কটার এলাকায় ঘুরতে গিয়ে দেখা হয় ভিকটিম শৈমংউ মার্মা (৫০) তিনি বলেন, এটি আমার জমি। এ জমিতে কেটে ফেলা সব গাছ আমার।
এতেই জমিতে পরে থাকা গাছ গুলোর দিকে হাত দেখিয়ে শৈমংউ মার্মা (৫০) এ প্রতিবেদক কে বলেন এসব পরে যাওয়া গাছ গুলো দুর্লোভ হয়ে মেদুসে মার্মা (৬৯)তার লোকজন নিয়ে গাছ গুলো কেটে দিয়েছে। তিনি ১টি স্থানের দিকে হাত দেখিয়ে বলেন এ গাছ গুলো কাটা সময় মেদুসে মার্মা লোকজনের সাথে কয়েকজন পুলিশ ও ছিল। ওই সব পুলিশ সদস্যরাও মেদুসে মার্মা পক্ষ নিয়ে গাছ কাটতে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ করেন শৈমংউ মার্মা।
এতেই শরেজমিনে ঠিক ওই সময় উপস্থিত হয় শৈমংউ মার্মা প্রতিপক্ষ মেদুসে মার্মা। এই জমিটি নিজের দাবি করে মেদুশে মারমা বলেন এ জমির বিপরীতে আমার বৈধ দলিল আছে। তাছাড়া এ জমি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট আদালতে থেকে সম্প্রতি একটি মামলার রায় হয়েছে। ওই রায় আমার পক্ষে ছিল। তাই এ জমি আমার। সুতরাং নিজ জমি থেকে সেগুন গাছগুলো বিক্রির জন্য লোক লাগিয়ে কেটেছি।
আপনার প্রতিপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে জেলা দায়রা জর্জ আদালতে আপীল করার পর আদালত থেকে রিভিশন মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই রায়ের আদেশ কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন, তারপরও জোর করে কেন গাছগুলো কেটে ফেলেছেন এ প্রশ্নে শৈমংউ মার্মা (৫০)এতেই মেদুসে মারমা বলেন আমাদের কাছে কোর্ট স্থগিতাদেশ এ ধরণের কোনো কাগজ আসেনি। অতএব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেটের রায়-ই আমার ন্যায়সঙ্গত আসল দলিল মনে করি।
এতেই শৈমংউ মারমার নিয়োজিত আইনজীবী জিয়াউল কেই মুঠোফোনে বলেন বিপক্ষে মিস সি আর -৪৯/২০১৭ নং মামলার বিগত ২৫/১১/২০২১ তারিখে বান্দরবানের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট রায়ের আদেশ বিপরীতে শৈমংউ মার্মা (৫০) বলেন মাননীয় বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালতফৌজদারী রিভিশন ১/২০২২ আনয়ন করলে মাননীয় দাযরা জজ আদালত থেকে রিভিশন মামলা নিস্পতি না হওয়া পর্যন্ত এই রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত আদেশ দিয়েছেন। তারপর ও বিবাদী মেদুসে মার্মা (৬৯)জেলা দায়রা জজ আদালতের আদেশ অমান্য করে গাছগুলো কেটে নেয়ার হয়েছে ও তার লোকজন।