স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ মারিউপোল শহরের একটি থিয়েটারে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিকদের ওপর বোমা ফেলেছে রুশ বাহিনী। ডেপুটি মেয়র সের্গেই ওরলভ দাবি করেছেন, ওই ভবনে এক হাজার থেকে ১২শর মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। তবে বোমা হামলার পর হতাহতের পরিমাণ জানা যায়নি। স্বাধীনভাবেও এসব তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে রাশিয়ার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে আক্রান্ত হয় ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, চার্চ এবং আবাসিক ভবন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুদ্ধের শুরু থেকে মারিউপোল শহরে অন্তত ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে। তবে তারা স্বীকার করেছেন এটা আনুমানিক হিসাব। নিহতদের অনেককেই গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে।
মারিউপোলের প্রায় তিন লাখ বাসিন্দা শহরের অভ্যন্তরে আটকে পড়েছেন। শহরটি পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। খাবার এবং পানির মজুতও শেষ হয়ে আসছে। মানবিক ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে রুশ বাহিনী।
মারিউপোল সিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ‘নির্বিচারে এবং নিষ্ঠুরভাবে থিয়েটারটি ধ্বংস’ করে দিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মারিউপোলের শান্তিপ্রিয় শত শত বাসিন্দা যে ভবনে লুকিয়ে ছিল সেখানে বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে।’
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় ওই হামলার ভয়াবহতার মাত্রা এখনও স্পষ্ট নয়। শহর কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা একটি ছবিতে দেখা গেছে ভবনটি থেকে ধোঁয়া উড়ছে এবং এর সামনের অংশ ধসে পড়েছে। ছবিটির সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, মারিউপোলে এটা আরেকটি ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ এবং রুশ বাহিনী বলতে পারবে না যে এটা বেসামরিক আশ্রয় কেন্দ্র ছিল তা তারা জানতো না।
তবে ওই থিয়েটারে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেখানে বিমান হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
খবর বিবিসি
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]