সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বিশাল সংগ্রহ গড়েও শেষ রক্ষা হলো না পাকিস্তানের। ইংল্যান্ডের কাছে হারল ৫ উইকেটে। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রবিবার ১৯৬ রানের লক্ষ্য ইংল্যান্ড ছুঁয়ে ফেলে ৫ বল বাকি থাকতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটাই ইংলিশদের সবচেয়ে বড় রান তাড়া করে জয়।
ম্যানচেস্টারে টস জিতে পাকিস্তানকে শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। এদিন ওপেনিং করতে নামেন টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান ও পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম। এদিনও নামের প্রতি সুবিচারই করেছেন। উদ্বোধনী জুটিতে ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে তোলেন ৭২ রান। এসময় ২২ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফখর।
দলীয় ১১২ রানে আউট হন বাবর আজম। ততক্ষণে তুলে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি। ৪৪ বলে ৫৬ রান করে বিদায় নেন পাক অধিনায়ক।
ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। মাত্র ৩৬ বলে ৬৯ রান করেন ৩৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তিনি করেছেন ১১ বলে ১৪ রান।
শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২০০'র কোটা স্পর্শ করতে পারেনি পাকিস্তান। ইংলিশদের পক্ষে ২ উইকেট নেন স্পিনার আদিল রশীদ।
জবাব দিতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় ইংল্যান্ডও। ব্যান্টন ও বেয়ারস্টোর জুটিতে মাত্র ৬.২ ওভারে ৬৬ রান পায় তারা। তবে শাদাব খানের পরপর দুই বলে ফেরেন দুই ওপেনার। মাত্র ২৪ বলে ৪৪ রান করেন বেয়ারস্টো। ব্যান্টন করেন ২০ রান।
তবে দুই ওপেনারের বিদায়ের পরও বিপদে পড়তে হয়নি স্বাগতিকদেরকে। অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ও ডাওয়িড মালান মিলে দলের হাল ধরেন। দুজনে গড়েন ১১২ রানের জুটি। ২০০ স্ট্রাইকরেটে মাত্র ৩৩ বলে ৬৬ রান করে আউট হন মরগ্যান।
শেষদিকে মঈন আলী, স্যাম বিলিংসের উইকেটও তুলে নেয় পাক বোলাররা। তবে একপ্রান্ত আগলে ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মালান।
বৃষ্টির বাধায় প্রথম ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]