রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || মঙ্গলবার | ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
রৌমারীতে ইট ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি
মিন্টু মিয়া,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ইট ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় গ্যাস নিষ্কাসণের কারনে এলাকার প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকালের দিকে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের চর বন্দবেড় গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের নষ্ট হয়ে যাওয়া ধান জমিতে গিয়ে খোঁভে পেটে পড়েন কৃষকগণ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক। এছাড়াও বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। দ্রুত ইট ভাটাটি স্থানান্তর না করলে আগামী দিনে কঠোর অবস্থানের ঘোষনা দেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,গত কয়েক বছর আগে চর বন্দবেড় গ্রাম থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে ফসলি জমিতে এনএমবি নামের একটি ইটভাটা চালু করা হয়। এর মালিক কুটির চর খাঁনপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম। ইট ভাটার চতুরপাশে ফঁসলী জমি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এছাড়াও অত্র এলাকায় আম,জাম,লিচু ও পিয়ারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছও মরে যাচ্ছে এবং মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীসহ নানান পেশাজীবি মানুষ।অভিযোগকারি কৃষক হাবিল উদ্দিন বলেন, আমি যখন ক্ষেতে আসছি তখন দেখি ধাঁনের শীষ কালো তখন খেয়াল করলাম প্রচন্ড বাতাসে এই ইট ভাটার কালো ধোঁয়ার কারনে ধানের শীষ কালো হয়েছে, ধান পুড়ে যাওয়ার গেছে এটা দেখে আমি এই ওয়ার্ডের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে জানাই। তিনি বলেন এটা ভাটার তাপমাত্রার কারনে হয়েছে। ভাটার মালিককে বিষযটি জানালে তিনি বলেন এটা ভাটার কারনে হয় নাই। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সকিমুদ্দিন বলেন, ইট ভাটার ধোঁয়ার কারনে ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমরা এর ক্ষতিপূরণ চাই এবং ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে বিচার চাই।কৃষক নুরুল আমিন জানান, যখন জোড়ে বাতাস আসে সেই সময়ে ভাটার ছাইসহ কালো ধোঁয়া এসে ধানের উপরে পড়ে ধানের গাছ কালো হয়ে গেছে। আমি এর ক্ষতি পূরণ চাই।এনএমবি ইট ভাটার মালিক নজরুল ইসলাম এর কাছে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে ২০ মিনিট পরে কথা বলতে চান।উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ওই ফসলি জমিতে যাই। প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করে দেখি ধান গাছে কোন রোগবালাই নেই। এটা ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারনেই এই ক্ষতিটি হচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল (ভার:) বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করে দেখবো সরকারি বিধি মোতাবেক ইটভাটাটি চালু করা হয়েছে কি না? পাশাপাশি কৃষকের ফসলের বিষয়টিও তদন্ত করেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.