রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || সোমবার | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
রৌমারীতে পঁচা চাল সংগ্রহ করায় গোডাউন সিলগালা
ইউনুছ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ খাদ্য গোডাউনের অসাধু কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভিজিডিসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর ভাল চাল কালোবাজে বিক্রি করে পঁচা চাল সংগ্রহ করার অভিযোগে রৌমারী সরকারি খাদ্য গোডাউন সিলগালা করেছেন নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট ও রৌমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ মো. আল ইমরান। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে রৌমারী খাদ্য গোডাউনে অভিযান চালিয়ে খাওয়ার অনুপযোগী ১৯ মেট্রিকটন চালসহ ০১ নম্বর গুদাম সিলগালা করা হয়।সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, ভিজিডি সহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের ৩’শ মে.টন চাল কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদাম থেকে রৌমারী গোডাউনে ঢোকার কথা। সেই মোতাবেক ১৫৪ টন চাল কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদাম থেকে পাঠানো হয়।
অজ্ঞাত কারণে সেই ভাল চাল না ঢুকিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পঁচা চাল সংগ্রহ করে গোডাউনে ঢুকানো হচ্ছিল। অভিযানে নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট আল ইমরান সেই সত্যতা পান। রৌমারী খাদ্য গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মোর্শেদ আলম বলেন, কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদাম থেকে ১৫৪ মে.টন চাল পাঠিয়েছে। ১’শ মে,টন এখনো নৌকায় আছে। ৫৪ মে.টন ট্রাকটরে আসতে দেরি হওয়ার কারণে রাতে চাল ঢোকাতে হচ্ছে। এসময় তিনি কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদামের ৫৪ মে.টনের চালন পত্র দেখান।এব্যপারে নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট ও রৌমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ মো. আল ইমরান বলেন, রৌমারী খাদ্য গোডাউনে পঁচা চাল ঢোকানো হচ্ছে এমন সংবাদের ভিক্তিতে গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় গোডাউনে ঢোকানো অবস্থায় ট্রাকটরে ৭৭ বস্তা ও গোডাউনের ভিতরের ১৯ মেট্রিকটন পঁচা চালসহ ০১ নম্বর গুদাম সিলগালা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, রৌমারী উপজেলার জন্য ভিজিডিসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য ৩’শ মে.টন চাল কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদাম থেকে রৌমারী খাদ্য গোডাউনে যাবে। ইতোমধ্যে ১৫৪ মে.টন চাল কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদাম থেকে ছাড় করা হয়েছে। ৫৪ মে.টন রৌমারী খাদ্য গোডাউনে চলে গেছে। ১’শ মে.টন চাল নৌকার করে যাচ্ছে নদীতে আছে। পঁচা চালের বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম থেকে পাঠানো চালের নমুনাসহ তদন্ত পাঠাচ্ছি সেটা দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার দুপুরের দিকে কুড়িগ্রাম থেকে চালের নমুনাসহ কুড়িগ্রাম খাদ্য পরিদর্শক পারভেজ হোসেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ও রৌমারী উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাউদ্দিন বসুনিয়াসহ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টীম এসে উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্সহ তদন্ত করে নমুনা চালের সাথে সীলগালা চালের কোন মিল খুজে পাননি বলে জানিয়েছেন তদন্ত টীম।কুড়িগ্রাম খাদ্য পরিদর্শক পারভেজ হোসেন বলেন, নমুনা চালের সাথে সীলগালা করা পঁচা চালের কোন মিল নেই। এখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্দ্ধতন কতর্ৃপক্ষকে অবগত করবো। যিনি এর সাথে যুক্ত রয়েছেন তার বিষয়ে ঊর্দ্ধতন কতর্ৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.