মিন্টু মিয়া,রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একটি আধাপাকা ভবন বন্যার পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে। ইতোমধ্যে ওই কলেজের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানি থেকে রক্ষার উদ্যোগ না নিলে টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে সম্পর্ণ কলেজটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। গত কয়েকদিনের ২পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি বৃদ্ধি হতে থাকে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দুই পাশ দিয়ে অতিক্রম করছে এবং তীব্র স্রোতের কারনে কলেজের পশ্চিম পাশে গভীরতার সৃষ্টি হয়। ফলে আধাপাকা একটি বড় টিনশেড ভবন পুরোটাই বন্যার পানিতে ভেঙ্গে গেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কলেজের অন্য ভবনটিও ঝুকিতে রয়েছে। জানা গেছে কলেজটি প্রায় দেড় একর জমিতে ২০০২ সালে স্থাপিত হয়। কলেজটিতে প্রায় ৭’শ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক ও কর্মচারী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ৩০ জন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গত রাতেই বন্যার পানির ¯স্রোতে কলেজের আধাপাকা ভবনটি ভেঙ্গে গেছে। একইভাবে ২০১৯ সালে ভয়াবহ বন্যায় কলেজ ও স্থানীয়দের যাতায়াতের একমাত্র পাকা ব্রীজটিও পানির স্রোতে ভেঙ্গে যায়। পরবর্তিতে বাশের সাকোঁ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ওই কলেজে যাতায়াত করছেন। অপরদিকে কলেজে যাতায়াতের জন্য প্রায় ২’শ গজ একটি পায়ে হাটা রাস্তাটিও বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে এক বাশের সাকোঁ দিয়ে তারা পারাপার হচ্ছে। কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান জানায়, প্রতিদিন ভবনটির অংশ ভেঙ্গে যাচ্ছে। ফলে আমরা ভয়ে ক্লাশ করতে পারছি না। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কলেজটি টিকবে না।রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য যে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। ভবনের পাশেই গভীরতার সৃষ্টি হয়েছে। এখনই উদ্যোগ না নিলে অন্য ভবনটিও পানির স্রোতে ভেঙ্গে যেতে পারে। কলেজে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। এমনিতেই পাঠদানের কক্ষ সংকট। কলেজটি রক্ষা করতে হলে জরুরী ভাবে গাইডওয়াল নির্মাণ করা দরকার এবং একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী করছি।রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল (ভার:) জানান, ভাঙ্গন ঠেকাতে আপাতত জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে এবং বিষযটি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।