আব্দুল খালেক রৌমারী (উপজেলা) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে গাছ কাটার অনুমতি না পাওয়ায় একটি রাস্তার পাকাকরণ কাজ বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের শিবেরডাঙ্গি গ্রাম বেরিবাঁধ রাস্তার। গাছগুলো কাটার অনুমতি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন কাজ পাওয়া ঠিকাদার ও এলাকাবাসি।
জানাগেছে, উপজেলার শিবেরডাঙ্গি গ্রামের বেরিবাঁধ রাস্তার পাকাকরণ কাজ চলছিল। শুধুমাত্র দেড়শ গজ পর্যন্ত বেরিবাঁধের রোপনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির ১১টি গাছ রয়েছে। গাছগুলো রাস্তার মাঝখানে থাকার কারনে পাকাকরণ কাজ করতে পারছে না। গাছগুলো কাটার অনুমতি চেয়ে বনবিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন এলাকাবাসী। তদন্ত করলেও গাছগুলো কাটার অনুুমতি দিচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন। তাই কাজ পাওয়া ঠিকাদার রাস্তার পাকাকরণ কাজ বন্ধ করে চলে যান। এলাকাবাসির দাবি দ্রুত গাছগুলো কাটার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
স্থানীয় ইমরান হোসেন, আলি আকবর, শাজাহান আলীসহ অনেকেই জানান, কয়েক বছর আগে ইউনিয়ন ফেডারেশনের সদস্যরা গাছগুলো রাস্তার একপাশে রোপন করেন। কিন্তু সরকারি জমি খাস হিসেবে অন্যপাশে রাস্তার মাপ জরিপ যাওয়ায় গাছগুলো রাস্তার মাঝখানে পড়ে যায়। এ জন্য যানবাহনসহ পথচারিদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, এলজিইডি’র অর্থায়নে শিবেরডাঙ্গি গ্রামের রাস্তা পাকাকরণের কাজ চলছে। প্রায় দেড়শ গজ পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে ১১ টি গাছ থাকায় পাকাকরণের কাজ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করেন ঠিকাদার ও এলাকাবাসি।
বনবিভাগ কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, গাছগুলো কাটার একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। পরে সরেজমিন ঘটনাস্থল গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কতর্ৃপক্ষে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
ঠিকাদারী শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ইউএনও সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু গাছ কাটার অনুমতি এখন মেলেনি। তাই আপাতত পাকাকরণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়ে বনবিভাগকে জানিয়েছি। প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]