গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধায় দ্বিতীয় দিনের কঠোর লকডাউন চলছে। জনগনকে সচেতন ও লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। লকডাউনের প্রথম দিনে গাইবান্ধায় বিধি-নিষেধ অমান্য করায় ৪৭টি মামলায় ২৬ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গত ১ জুলাই বৃহ¯পতিবার গাইবান্ধার ৭টি উপজেলায় ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে গাইবান্ধায় সরকারী-বেসরকারী অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কোন কোন এলাকায় কিছু দোকান খোলা ছিল। সান্দারপট্টি, স্টেশন রোড, কলেজ রোডসহ শহরতলি এলাকাগুলোতে কিছু কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। মোটরসাইকেল, রিক্সাসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এমনকি ব্যাটারী চালিত ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সাও চলতে দেখা যায়। উন্মুক্ত স্থানে কাচাবাজার বসানোর কথা থাকলেও তা পালন করা হচ্ছে না। শহরের পুরাতন বাজারে আগের মতই যথারীতি ভীড় করে লোকজনকে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। শহরে লোকজনের চলাচল ছিল কম। তাদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক ছিল না। লকডাউন কার্যকরে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়াও উপজেলা শহর ও বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে যথারীতি লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন কাজ করছে। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হচ্ছে। একই সাথে লকডাউন কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।