রেদোয়ান হাসান,ঢাকা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ

করোনা রোধে সরকার ঘোষিত আটদিনের লকডাউন মানাতে সাভার-ধামরাইয়ের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তৎপর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নানা ছুতোয় সড়কে আগত সাধারণ মানুষদের লকডাউন মানাতে জেরার আওতায় নিয়ে আসছে পুলিশ। তবে সড়কে জেরা করা দেখতে আসা উৎসুক জনতাও দেখা গেছে।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের হেমায়েতপুর, সাভার বাজার স্ট্যান্ড, নবীনগর স্ট্যান্ড, বাইপাইল, আশুলিয়া, ধামরাই, ঢুলিভিটা, কালামপুর ও বারবাড়িয়া চেকপোস্ট ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

দুপুর ১২টার দিকে সাভার স্ট্যান্ডে রিকশায় করে শিমুলতলার দিকে যাচ্ছিলেন কয়েকজন।

এসময় মোটরসাইকেলের টহলরত দু’জন পুলিশ সদস্য তাদের থামিয়ে জানতে চাইলেন বাইরে বের হয়েছেন কেন, কোথায় যাচ্ছেন? কেউ হাসপাতলে, কেউ বাজারে যাচ্ছেন বলে জানান তারা।

এসময় মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা কনেস্টবলকে বলতে শোনা যায়- লকডাউনে আপনারা বাইরে যাবেন, বাজার করবেন, ঘুরতে বের হবেন আর আমাদের কষ্ট করতে হবে!

একই চিত্র দেখা যায় ঢাকার ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া চেকপোস্টেও। একপর্যায়ে সেখানে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগত যানবাহনগুলো যাচাইয়ের পর যেতে দেয়া হচ্ছে।

এদিকে এসব এলাকায় দেখা গেছে উৎসুক জনতাও। সড়কে দাঁড়িয়ে অনেকেই দেখছেন পুলিশের কার্যক্রম।

এর আগে সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি তৎপরতা যেমন দেখা গেছে, তেমনই দেখা গেছে জনতার ঢলও।

মহাসড়কের কালামপুর স্ট্যান্ড ও সাভারের স্ট্যান্ডগুলোতে দেখা যায় রিকশা ও লেগুনায় করে যাত্রী পরিবহন করছেন অনেকেই। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কিছুটা শক্ত অবস্থানে গেলে জনতার ঢল কমে আসে।

এসব সড়কে দেখা যায়, পুলিশ সাধারণ মানুষকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন। কিন্তু সদুত্তর না পাওয়ায় অনেককেই রিকশা থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের চলাচল সীমিত করতে সড়কে বসানো হয়েছে একাধিক চেকপোস্ট।

মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশি অবস্থান ছাড়াও পুলিশি টহল এবং মোবাইল কোর্ট লকডাউনে তৎপর রয়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট টহল দিতে দেখা যায়।

দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, উপরের নির্দেশে তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন। উদ্দেশ্য একটাই, করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়ে।

এবিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহীদুল ইসলাম বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় যেসব সেবা রয়েছে সেসব গাড়ি চলছে। এর বাইরে মানুষ তো নামা নিষেধ। রিকশা চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া প্রবেশদ্বার গুলোতে (আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, বিরুলিয়া, আশুলিয়া, বাইপাইল, মরাগাঙ, ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া) চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ তৎপর ব্যবস্থা নিয়েছি সবখানেই।