র্যাবের জালে ৩ আসামি লক্ষ্মীপুরে সৌদি প্রবাসী আজাদ হোসেনের ঘর থেকে ২০ লাখ টাকা ও সাড়ে ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের কাছ থেকে প্রবাসীর শিশু কন্যা আয়েশা আক্তার রাফুমনিসহ ৪৫ হাজার টাকা, ২৬.৪১ গ্রাম স্বর্ণ, ২ টি মোবাইলফোনসেট ও ৩ টি সীম উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক খন্দকার মো. শামিম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। র্যাব কর্মকর্তা জানান, প্রবাসী আজাদের দায়ের করা ব্যভিচার ও চুরি মামলায় তার স্ত্রী রুমা আক্তারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়ায় মোবাইল ফোন ও সীমগুলো তারা ব্যভিচার কাজে ব্যবহার করতো। আসামিদের লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মহিন উদ্দিন ও একই উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের চরলরেন্স গ্রামের বাসিন্দা আয়েশা বেগম। পলাতক আসামিরা হলেন সদর উপজেলার চররুহিতার ইউনিয়নের চরলামচি গ্রামের মুক্তার হোসেন ও দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের হাসিনা বেগম। র্যাব সূত্র জানায়, আজাদ সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী। রুমা ও তার সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। আজাদ সৌদিতে থাকার সুবাদে তার স্ত্রী রুমা অন্য আসামি মুক্তার ও মহিনের সঙ্গে ব্যাভিচার সম্পর্কে চালিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে রুমাকে সংশোধনের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি।
ব্যভিচারের কারণে সংসারটি ধংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। এতে নিরুপায় হয়ে আজাদ ১১ ফেব্রুয়ারি সৌদি থেকে দেশে আসে। স্ত্রী রুমাকে সংশোধনের জন্য চেষ্টা করলে তাকে নারী নির্যাতনের মামলার হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে রুমা অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আজাদের ঘর থেকে ২০ লাখ টাকা ও সাড়ে ১৬ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় আজাদের মেয়ে আয়শা আক্তার রাফুমনিকেও নিয়ে যায়। ঘটনার দিনই আজাদ মেয়েকে উদ্ধারসহ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন তিনি র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পেও অভিযোগটি দায়ের করেছেন। অভিযোগ ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রাজধানীর নয়াপল্টন ও লক্ষ্মীপুরের ঝুমুর এলাকা থেকে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।