মঈনুল হাসান রতন শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ শায়েস্তাগঞ্জ পার্শ্ববর্তী লস্করপুর ও হাবিজপুরে ধানের জমিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইট ভাটা। নিয়মনীতি ছাড়াই ইটভাটা তৈরী করছে ফসলী জমি নষ্ট করে। এক কিলোমিটারের ভিতরে গড়ে উঠেছে প্রায় ১০টি ইটভাটা। এতে করে এলাকার ধানের জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। ইটভাটার কারণে এলাকার ফসলী জমিতে ফসল হচ্ছে না ভাল করে। জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা লস্করপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুইপাশেই গড়ে উঠেছে ইটভাটাগুলো। এদিকে বাহুবল উপজেলার হাবিজপুর এলাকাতে নিয়মনীতি ছাড়াই গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। ইটভাটার কারণে আশেপাশে কয়েকশ একর ফসলী জমিতে ফসল হচ্ছে না বলে জানায় স্থানীয় কৃষকরা। এক সময় লস্করপুর ও হাবিজপুর এলাকায় কৃষকরা ওই জমিগুলোতে œ ধানসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করত। এখন ইটভাটার কারণে ওইসব এলাকার কৃষকরা ধান চাষতো দুরের কথা কোন ধরণের সবজি চাষ করতে পাচ্ছেন না ওই জমি গুলোতে। সরজমিনে ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে আরেক দৃশ্য। এক সময় লস্করপুর ও হাবিজপুরে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করত ওই এলাকায়। এখন দেখা যায়, জমিগুলোতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ইটভাটা হওয়ায় ওই সব এলাকায় আশেপাশের বাড়িঘরের ফল গাছগুলোতে ফল ধরছেনা আগের মতো। ইটভাটার ধোঁয়ার কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আশেপাশের লোকদের হচ্ছে সর্দি, কাশি ও এজমাসহ নানা ধরণের রোগ। স্থানীয় কৃষকরা জানায় আগে ওই এলাকায় ২ থেকে ৩টি ইটভাটা ছিল। কিন্তু বর্তমানে ওই এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। অনেকেরই প্রশ্ন কিভাবে একই এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এতোগুলো ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য ইটভাটা হওয়ায় আশপাশের এলাকার ফসলী জমির মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটাগুলোতে। জমির মাটি বিক্রির কারণে ফসলী জমিগুলি নষ্ট হচ্ছে দিন দিন। হচ্ছে না ওই এলাকার ধান, রবি শষ্যসহ বিভিন্ন ফসল। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ওই এলাকাদিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগের ভাল মাধ্যম হওয়ায় গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ইটভাটার মাটি বোঝাই ট্রাক্টরগুলো মহাসড়কদিয়ে চলে বেপরুয়াভাবে। প্রত্যেকটি ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। এতে করে দিন দিন বিভিন্ন ফলাদি গাছে ফল আগের তুলনায় কম ধরছে। হচ্ছে পরিবেশ নষ্ট।