আমিনুল ইসলাম রকি,লালমনিরহাটঃমিথ্যা অভিযোগ দায়ের ও অপপ্রচার চালিয়ে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী।মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ১১টায় শহরের মিশন মোড়ের আলসাদ হোটেলের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।জানাগেছে, গত (১৭ জুন) শুক্রবার লালমনিরহাট শহরের শাহজাহান কলোনীর বাসিন্দা মৃত শহিদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম গইজার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে শহরের বিডিআর গেট এলাকায় মানববন্ধন করেন একটি মহল।সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম গইজা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঐ মানববন্ধনে কুচক্রী মহলের ৩-৪ জন ছাড়া সেখানে অধিকাংশ মানুষ ছিলো ভাড়াটে ও শহিদ শাহজাহান কলোনীর সহজসরল মানুষ। মুলত আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।আমার বিরুদ্ধে কোন থানায় কোন মামলা কিংবা কোন অভিযোগ নেই। আমি একেবারেই সাদামাটা একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ।গত ১০/০৬/২০২২ইং তারিখে আনুমানিক রাত সাড়ে ১২ টার দিকে, আমি ঢাকায় থাকা কালিন সময় পুর্ব শত্রুতার জেরে, শাহজাহান কলোনীর সোনা উল্লার ছেলে সুমন (২৭), লতিফ মিয়ার ছেলে রোমান সহ ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্র সহ আমাকে মেরে ফেলার জন্য আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে আমার বোন মোছাঃ কুসুম বেগম বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। পরে ঘটনা শুনে লালমনিরহাট এসে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। যার নাম্বার -৬৮ তারিখঃ ১৬/০৬/২০২২ইং।বিষয়গুলো পুলিশ তদন্ত শুরু করলে, ঐ সঙ্গবদ্ধ চক্রটি আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তারই ধারাবাহিকতায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা বানোয়াট প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে মুলত তাদের নেতৃত্বদানকারীরা সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের বিরুদ্ধে মহামান্য আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, শাহজাহান কলোনির মোঃ জ্যাম (৩০) পিতাঃ মোঃ হারুন মাস্টার, মোঃ রেজা (৩২) পিতাঃ সামসুল মিয়া সাং শাহজাহান কলোনী। যাদের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখায় লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা রয়েছে। যার মামলা নং- ৫৬/৩৫৪ তারিখঃ ৩০/০৬/২০১৭ ইং। শহিদ শাহজাহান কলোনীর বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে আব্দুস সামাদ (২১) তাহার বিরুদ্ধেও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা রয়েছে। যার মামলা নং- ৩৩ তারিখ -১৮/০৭/২০২১ ইং।এছারাও ঐ এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে মোঃ আঃ লতিফ মিয়া (৫৫) সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মলম পার্টির সদস্য আখ্যা দিয়ে চোরাই ইজিবাইক, ব্যাটারি ও যন্ত্রাংশ কেনাবেচায় জড়িত থাকায়, পেনালকোড ৩২৮/৩৭৯/৪১১/৪১৩ ধারায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। যার লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার মামলা নং- ১৩৮ তারিখঃ ৩০/০৭/২০২১ ইং।ভুক্তভোগী আরো বলেন, আমাকে আমার বাড়িসহ উৎখাত করার লক্ষে ঐ কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। আপনারা জেনে থাকবেন শহিদ শাহজাহান কলোনী ঘনবসতি এলাকা হওয়ায়, সেখানে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু সংকটময় সময়ে পুলিশকে কিছু সহযোগীতা করেছিলাম আমি। এটাকি আমার অপরাধ? সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তাদের সহযোগীতা করেছিলাম সেই সময়।আজ আমাকে অনেকটা গৃহবন্দী করে রেখেছে ঐ সংঘবদ্ধ চক্র। তারা আমার বাড়ির চার পাশে দলবদ্ধ হয়ে ২০-২৫ জন দিনেরাতে ঘুরাঘুরি করছে। যাহার সিসিটিভি ক্যামেরার স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে রয়েছে। বর্তমানে আমি প্রান সংশয়ে রয়েছি।সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম বলেন, আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আকুতি জানাতে চাই, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ যেনো একতরফা আমলে নেওয়া না হয় এবং আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমি বাংলাদেশর সংবিধান ও আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। আমার আকুতি আমলে নিয়ে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ। আর আপনারা সমাজের দর্পণ, আপনাদের মাধ্যমে মানুষ আবারো জানবে আইনের উর্ধে কেউ নয়। এমনটা প্রত্যাশা আমার।ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারবর্গের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।