ফের উদাহরণ দেখাচ্ছে ব্রেন্ডন টেলরের দল। টেস্টে বড় ব্যবধানে হারলেও, ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে চেপে ধরেছে স্বাগতিকরা। সকালের মুভমেন্ট কাজে লাগিয়ে নতুন বলে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে দেয় তারা। তবে লিটনের ফিফটিতে ম্যাচে কামব্যাক করেছে বাংলাদেশ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯.৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২২ রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যাচ্ছেন ডানহাতি ওপেনার লিটন দাস (৮০ বলে ৫৪), ছয়ে নেমে চাপ সামাল দেয়ার মিশনে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩২ বলে ১৬)।
এরই মধ্যে সাজঘরে ফিরেছেন তামিম ইকবাল (৭ বলে ০), সাকিব আল হাসান (২৫ বলে ১৯), মোহাম্মদ মিঠুন (১৯ বলে ১৯) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (১৫ বলে ৫)। সাকিব ছাড়া বাকি তিনজনই আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
টসের সময় তামিম জানিয়েছিলেন, প্রথম ঘণ্টায় পিচে থাকবে বোলারদের জন্য বাড়তি সুবিধা। তাই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের থাকতে হবে অধিক সতর্ক। কিন্তু টাইগার অধিনায়ক নিজেই পারেননি সতর্ক থাকতে, পারেনি পরের ব্যাটসম্যানরাও। উল্টোদিকে প্রথম ঘণ্টার সুবিধা কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও টাইগার অধিনায়ক তামিম জানিয়েছেন, টস জিতলে তিনি আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন।
কেন আগে বোলিং নিতেন তামিম, তারই যেন প্রমাণ দিচ্ছেন জিম্বাবুয়ের দুই নতুন বলের পেসার। প্রথম দুই ওভারে ব্লেসিং মুজুরাবানি ও টেন্ডাই চাতারার বিপক্ষে সুবিধাই করতে পারেননি তামিম ও লিটন।
বেশ কয়েকটি বলে আউটের সম্ভাবনা জাগান এ দুই পেসার। অল্পের জন্য বেঁচে যান দুই টাইগার ওপেনার। তবে প্রথম দুই ওভার থেকে কোনো রান অবশ্য করতে পারেনি বাংলাদেশ।
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটি অফস্ট্যাম্পের খানিক বাইরে করেছিলেন মুজুরাবানি। এক্সট্রা বাউন্স থাকা ডেলিভারিটি কাট করতে চেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৯তম বারের মতো শূন্য রানে আউট হন তামিম। যা কি না বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড। শুধু তাই নয়, তিন ফরম্যাট মিলেও বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ডাকের মালিক এখন তামিম।
অধিনায়কের বিদায়ের পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মেরেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ইনিংসেও এটিই প্রথম রান। পরের ওভারে লেগসাইডে বিশাল ওয়াইডে বোনাস বাউন্ডারি দেন টেন্ডাই চাতারা।
তামিম-লিটন সুবিধা করতে না পারলেও, শুরু থেকেই উইকেটে ব্যস্ত সময় পার করতে থাকেন তিনি। বিশেষ করে চাতারার ওভারে কাভার ড্রাইভে হাঁকান দর্শনীয় এক চার।
কিন্তু বেশিক্ষণ এটি চালিয়ে নিতে পারেননি সাকিব। ইনিংসের নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুজুরাবানির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৩ চারের মারে ২৫ বলে ১৯ রান করেন সাকিব।
তামিমের মতোই সাকিবের আউটের ডেলিভারিতেও ছিল এক্সট্রা বাউন্স। তবে ঠিকঠাক ব্যাটে নিতে পেরেছিলেন সাকিব। কিন্তু তার ব্যাটে ডাবল টাচ লেগে বল চলে যায় শর্ট এক্সট্রা কাভারে দাঁড়ানো রায়ান বার্লের হাতে।
সাকিব ফিরে যাওয়ার পর মিঠুনের শুরুটাও ছিল আশা জাগানিয়া। কিন্তু বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন অফ ড্রাইভের পর জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলা শটে কট বিহাইন্ড হন তিনি। যেখানে ছিল না কোনো ফুট মুভমেন্ট।
মিঠুনের মতো প্রায় একইভাবে সাজঘরে ফিরেছেন মোসাদ্দেক। বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভার বল ফুট মুভমেন্ট ছাড়াই অফসাইডে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার গ্লাভসে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: ওয়েসলি মাধেভেরে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্র্যান্ডন টেইলর, ডিয়ন মায়ার্স, টিমিসেন মারুমা, রেগিস চাকাভা, রায়ান বার্ল, লুক জঙওয়ে, তেন্দাই চাতারা, ব্লেসি মুজারাবানি, রিচার্ড এনগাভারা।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]