আরেকটি কামব্যাকের গল্প লেখা হলো না লিভারপুলের। অলরেডদের চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযান থেমে গেলো কোয়ার্টার ফাইনালেই।
শেষ চারে যেতে হলে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যদের জিততে হতো দুই গোলের ব্যবধানে। কিন্তু ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে গোলশূন্য ড্র করেছে লিভারপুল। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-১ ব্যবধানে পাওয়া জয়্-ই রিয়ালকে পৌঁছে দিল সেমিফাইনালে। অর্থাৎ, দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ চারের টিকিট কাটল জিনেদিন জিদানের দল।
সেমিতে যাওয়ার জন্য লিভারপুল আত্মবিশ্বাস খুঁজেছিল অতীত থেকে। কামব্যাক করা দলগুলোর তালিকা করলে ওপরের দিকে থাকবে তারা। এই তো ২ বছর আগে, ক্যাম্প ন্যুয়ে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৩-০ গোল বিধ্বস্ত হয়ে আসার পর অ্যানফিল্ডে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪-০ গোলের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে লিভারপুল। সেবার ২০০৫ সালের পর শিরোপাও জিতে তারা।
কিন্তু ইতিহাস সব সময় পুনরাবৃত্তি হয় না। তাও আবার রিয়ালের মতো দলের বিপক্ষে, যারা কিনা চ্যাম্পিয়নস লিগের রেকর্ড শিরোপাধারী। মোহামেদ সালাহরা পারলেন না চোট জর্জর লস ব্লাঙ্কোসদের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিতে। ২০১৮ সালে ইউক্রেনে রিয়ালের হাতে শিরোপা স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছিল ক্লপের দল। এবারও লিভারপুলের দুঃস্বপ্নের নাম হয়ে থাকলো রিয়াল।
অ্যানফিল্ডের দর্শকশূন্য মাঠে আরেকটি কামব্যাকের গল্প লেখার আয়োজনটা সারতে চেয়েছিল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু প্রথমার্ধে সুযোগ পাওয়ার পরও তা কাজে লাগাতে পারেনি ক্লপের দল। শুরুতে সালাহর সোজা শট পা দিয়ে রুখে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক থিবু কোর্তোয়া। এরপর জেমস মিলনার-জিওর্জিনো ভিজনালদামকে হতাশ করেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রিয়ালের বেনজেমাও। কিন্তু ফরাসি ফরোয়ার্ডের শটে বাধা হয়ে দাঁড়ায় লিভারপুলের গোলপোস্ট। বিরতির রবার্তো ফিরমিনোর শটে বাধা হয়ে আবারও রিয়ালকে বাঁচান কোর্তোয়া। এরপর আরও কয়েকটা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারায় হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় লিভারপুলকে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]