চলতি মৌসুমের শুরুতেই ঝলক দেখিয়েছিলেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাতে এ তারকা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে করলেন জোড়া গোল। শেষ পর্যন্ত তার নৈপুণ্যে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে জার্মান সুপার কাপ শিরোপা উল্লাসে মাতে বায়ার্ন মিউনিখ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাতে ৩-১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। লেভানদোভস্কি করেন দুই অর্ধে দুই গোল। দলটির হয়ে অন্য গোলটি করেন থমাস মুলার। ডর্টমুন্ডের একমাত্র গোলটি করেন মার্কো রয়েস। জার্মান সুপার কাপের ইতিহাসে বায়ার্নের এটি টানা দ্বিতীয় ও রেকর্ড নবম শিরোপা।
প্রতি মৌসুমের শুরুতে আগেরবারের বুন্ডেসলিগা ও জার্মান কাপ জয়ীর মাঝে হয়ে থাকে এক ম্যাচের এই লড়াই। দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আড়ালে অনেকেই ম্যাচটিকে দেখছিলেন লেভানদোভস্কি বনাম আর্লিং হলান্ডের দ্বৈরথ হিসেবে। কিন্তু তেমন কিছুই করতে পারলেন না ডর্টমুন্ড ফরোয়ার্ড। বাজিমাত করলেন গত কয়েক মৌসুম ধরে দারুণ ছন্দে থাকা পোলিশ তারকা।
মঙ্গলবার ম্যাচের শুরুতে ডর্টমুন্ড একটু এগিয়ে ছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে বায়ার্ন। যে কারণে ৪১তম মিনিটে মেলে গোলের দেখা পায় বায়ার্ন। বাঁ দিকে একজনকে কাটিয়ে সের্গে জিনাব্রির বাড়ানো ক্রসে লেভানদোভস্কি ঠিক সময়মতো ছুটে গিয়ে হেডে দলকে এগিয়ে নেন।
বিরতির পরই ব্যবধান দ্বিগুন করে বায়ার্ন। এবারের গোলেও অবদান রাখেন লেভানদোভস্কি। তার কাছ থেকে বল পেয়েই ডর্টমন্ডের জাল খুঁজে নেন মুলার। তিন মিনিট পর আবার জালে বল পাঠায় ডর্টমুন্ড, কিন্তু এ দফায়ও ওঠে অফসাইডের পতাকা। চলতি মৌসুমে আগের দুই ম্যাচে পাঁচ গোল করা হলান্ডের চোখে-মুখে হতাশা ফুটে ওঠে।
রয়েসের অসাধারণ নৈপুণ্যে অবশেষে ৬৪তম মিনিটে জালের দেখা পায় দলটি। তবে ডর্টমুন্ডের জেগে ওঠা আশা একটু পর তাদের ভুলেই ফিকে হয়ে যায়। ডি-বক্সের বাইরে আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ বরাবর শট নেন ডিফেন্ডার মানুয়েল আকাঞ্জি। সতীর্থের পায়ে লেগে আসা বল ধরে এগিয়ে সহজেই ব্যবধান বাড়ান লেভানদোভস্কি। শেষ পর্যন্ত তার নৈপুণ্যে সুপার কাপ ঘরে তোলার আনন্দে মাতে বায়ার্ন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]