স্থানীয় এলাকাবাসী থেকে সরেজমিনে দৈনিক শিরোমণি জানতে পারে, গতকাল রাতে মৃত সাকিলের বাড়ির আঙ্গিনার একটি আমগাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তারা সাকিলের মরদেহ দেখতে পান।
শোকাহত মা হাসনেআরার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেনা, ওর হাত গামছা দ্বারা বাঁধা ছিলো, লাশ টি হাটুগাড়া অবস্থায় মাটিতে ছিলো,নাক কান দিয়া রক্ত বাহির হইতাছিলো ” সাকিল আহম্মেদ স্থানীয় মোল্লারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র।
দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক বাবুল বেপারী একজন কৃষক। মৃত সাকিল আহম্মেদের মামা মো:আহম্মদ আলী বলেন, “সাকিল গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে কিছু না বলে চলে যায়, পরবর্তীতে রাত বেশি হওয়ায় বাড়িতে না ফেরায় চিন্তিত পরিবার খোঁজাখুঁজি করেন ” রাতে মৃতের পিতা বাবুল বেপারী বাড়ির চারিদিক খোঁজাখুঁজি করলে, হঠাৎ দেখতে পান ঘরের পিছনে থাকা আমগাছের সাথে অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় সাকিলের মরদেহ দেখতে পান। তার চিৎকারে বাড়ির অন্য সদস্যরাও ছুটে আসে, মা হাসেনাআরার দাবি, তার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেনা। পিতা বাবুল বেপারীর সাথে মোবাইল ফোনে দৈনিক শিরোমণি ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আমাদের জানান, “জমিজমা নিয়া অনেক মামলা মোকদ্দমা আমার নামে আছে, জানিনা আল্লাই ভালো জানেন কেডা আমার এই সর্বনাশ করলো, আমি বিচার চাই যদি এইটা হত্যা হয় ” এই ঘটনার পরপরই স্থানীয় সখিপুর থানা পুলিশ গতকাল রাত আনুমানিক ২ ঘটিকায়, মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। উক্ত সময়ে পুলিশ জানায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগে কিছুই বলা যাবেনা এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। ১৩ বছর বয়সী বালকের মৃত্যুতে পরিবারটিতে শোকের ছায়া। শোকে কাতর মা হাসনেআরা দৈনিক শিরোমণিকে জানান,”কোনটার অভাবে আমার পোলা আত্মহত্যা করবো, বাবা আমারে না কইয়া বাড়ির থেকে বেরিয়ে আর ফিরলো না ” এদিকে এই ঘটনা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে সম্পর্কে মৃত সাকিলের মামা কে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “প্রশাষণ আইছে ঘটনার তদন্ত হোক, হত্যা হলে আমরা দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।