রাকিব হাসান আকন্দ, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :আমরা চাই শ্রমিক নেতা শীদুল নিহতের ঘটনার পেছনে যারাই আছে, সে যেই হোক এবং যতো শক্তিশালীই হোক তাদের কঠিন বিচারের আওতায় এনে যেন শাস্তি দেওয়া হয়। সবার নজরে যেন পড়ে যে এ ধরনের কোন ঘটনা কেউ করলে তাদের রেহাই নাই। শুক্রবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় গাজীপুরের টঙ্গীতে নিহত শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলামের বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার সময় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক সমিতির প্রেসিডেন্ট ফারুক হোসেন এসব কথা বলেন।
নিহত শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সিনিয়র সাংগঠনিক নেতা এবং গাজীপুর জেলার শাখার সভাপতি ছিলেন। সে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের মিটালু গ্রামের আজগর আলী আফরাদের ছেলে।
বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুক হোসেন বলেন, কোন মৃত্যুই আসলে কাম্য নয়। এটার সম্পূর্ণ ঘটনাটা সাথে সাথে আমাকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস টেক্সটাইল এন্ড লেবার ওয়ার্কার্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাশেদুল আলম রাজু জানিয়েছে। যেসময় ঘটনা ঘটেছে সেদিনই সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনার এজাহার নিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনার সময় যারা উপস্থিত ছিল তাদের কথা অনুযায়ী যে কয়জন আসামীর নাম বলা হয়েছে তাদের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। যারা আসামী ছিল এবং এর বাইরেও যারা আছে তাদের মধ্যে থেকে শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল পর্যন্ত মোট ৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা, শিল্প পুলিশ ও র্যাব। আমার প্রয়োজনে শিল্প পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই যারাই এ ঘটনার পেছনে আছে, সে যেই হোক এবং যতো শক্তিশালীই হোক তাদের কঠিন বিচারের আওতায় এনে যেন শাস্তি দেওয়া হয়। আমাদের বিজিএমইএর পক্ষ থেকে আমরা আগেও বলেছি এবং এখনো আমি দৃঢ়ভাবে বলছি ঘটনার পিছে যারাই সংশ্লিষ্ট আছে, যাদের থেকে এ ঘটনা ঘটেছে তাদের কঠিন বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিএমইএ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করবো। আমরা চাই এ ঘটনার যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। সবার নজরে যেন পড়ে এ ধরনের কোন ঘটনা কেউ করলে তাদের রেহাই নাই।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু শহীদুল কারখানায় কাজ করতো এবং শ্রমিক নেতৃত্ব দিচ্ছে তাই তার সম্পর্কে একটা ভালো ধারনা আছে। বিজিএমইএ’র মালিকদের পক্ষ থেকে সবাই অবগত আছে সে আমাদের শ্রমিক সংগঠনের সাথে কাজ করে। বিজিএমইএ আশা করে তার মৃত্যুর ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ন্যায় বিচার করবে। শহীদুলের অসুস্থ স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সবসময় সহযোগীতা থাকবে। তাদেরকে যেন আরো সহযোগীতা করা যায় সে ব্যবস্থা আমি করবো। এসময় বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে শহীদুলের স্ত্রী ও সন্তানদের হাতে তিন লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এসময় বিজিএমইএ প্রেসিডেন্টের সাথে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) সভাপতি আমীরুল হক আমীন, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল আকতারসহ আইবিসির অধীনে ১৬ টি এবং অন্যান্য ১৪টি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি নিহত শহীদুলের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন।