রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || শনিবার | ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
শার্শায় কৃষি জমি খনন করে মাটি উত্তোলন
পলাশ মাহমুদ,বেনাপোলঃ
শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটে নির্বিচারে আবাদি জমি থেকে মাটি কাটার ধুম লেগেছে । বুধবার (১৯ই জানুয়ারি) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নিজামপুর ছোটবসন্তপুরের সিরাজ মেম্বারের ২০ থেকে ২৫ বিঘা ফসলি জমি মাছের ঘের কাটার নামে চলছে এলাহি যজ্ঞ।ঘটনাস্থলে জানা যায়, ক্যারালখালির,মিলন মেম্বার,ও নাভারনের জাকির হোসেন, দুই সক্রিয় মাটি ব্যবসায়ি এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে মুঠোফোনে জাকিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান দেশে কি নিউজের অভাব পড়েছে যে মাটি নিয়ে লিখতে এসেছেন। মাটি উত্তোলনের কোন অনুমোদন আছে কি জানতে চাইলে তিনি জানান সেটা আপনারা (ইউ,এন,ও) এসি ল্যান্ড কে জিজ্ঞাসা করেন।একই বিষয়ে মিলন মেম্বারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাংবাদিকদের ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন প্রথমে আমি বিক্রি করছিলাম এখন মাটি জাকির ভাই বিক্রি করছেন।
বিভিন্ন সূত্র মতে, জানা যায় ইটভাটার মালিকদের ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার আগ্রাসী মনোভাবের কারণে পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।শীতের শুষ্কতার সময় ইট তৈরির মৌসুম শুরু হওয়ায় এরই মধ্যে অনেক ইটভাটায় মাটি ফুরাতে শুরু করেছে। ফলে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়। সুকৌশলে জমি মাছের ঘের কাঁটার নামে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি হচ্ছে। আর একশ্রণীর মাটি উত্তোলন সিন্ডিকেটের সক্রিয় মহল বিভিন্ন ভাবে দিনে ও রাতের আধারে এই কর্ম যজ্ঞ করে চলেছেন। বসন্তপুরের খাইরুল বলেন আমরা সাধারন মানুষেরা এখন জিম্মি কিছু বলতে সাহস হয়না তাছাড়া দুই-একটা অভিযোগ করলেও মোটা অংকের টাকায় রফাদফা হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় তাই নির্বিকার হওয়া ছাড়া কিছু করার নেই। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দু-একটি জরিমানা করলেও, কার্যত কার্যকারী কোন সুফল পাচ্ছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অনেকেই।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)রাসনা শারমিন মিথি সাংবাদিকদের বলেন,বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন,(২০১০ সনের ৬২ নং আইনের ৪ এ ধারায় বর্ণিত) বালু ও মাটি উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং যদি কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্টান আইন অমান্য করে অনুর্ধ ০২ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দন্ডপ্রাপ্ত হবেন। ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে অন্যত্র নেয়ার কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সাধারণ মানুষ অভিযোগ করবে এবং আমারা ব্যবস্থা নিতে পারবো।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.