রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || বুধবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
শার্শায় শিশুকন্যাকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
জেমস আব্দুর রহিম রানা যশোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ যশোরের মণিরাপুরের পর এবার জেলার শার্শায় ৬ বছরের শিশু কন্যা আখি মনির মুখে বিষ ঢেলে সুমি খাতুন (২৭) নামে এক মা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাতে উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শুড়ারঘোপ গ্রামে এই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। সুমি খাতুন ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্ত ছিলেন।এরআগে যশোরের মণিরামপুরে স্বামীর পরকীয়ার জেরে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী তার শিশু কন্যাকে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজেও একই দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।সুমি খাতুনের ভাই মাহমুদুল হাসান মাসুদ জানান, আখি মনির জন্মের পর স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটে। শিশু কন্যাকে নিয়ে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানতে পারি, তারা মা- মেয়ে বিষপান করেছে। তাদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মা-মেয়েকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. আব্দুর রশিদ জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই শিশু আখি মনির মৃত্যুর হয়। সুমিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। রাত ৯ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থা তারও মৃত্যু হয়।ডা. আব্দুর রশিদ আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, শিশু কন্যাকে বিষপান করিয়ে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। লাশ দুটি হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।মৃতের মামা কামরুজ্জামান জানান, সুমিকে ফের বিয়ে দেয়ার জন্য তার পিতা সিরাজুল ইসলাম চেষ্টা করেন। কিন্তু পাত্র মেয়ে আছে জানার পর বিয়ে করতে নারাজ হয়। সুমিও মেয়ে ছাড়া বিয়ে করতে চাননি। এনিয়ে সুমির বাবা ও পরিবারের সাথে কলহ চলে আসছিল।শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, মা- মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি। লাশের ময়না তদন্তের প্রস্তুতি চলছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.