দুঃখিনী মা মোছাঃ চম্পা খাতুন (৪৫), স্বামী মোঃ ফরিদ শিকদার, সে যশোর মাগুরা লোকাল বাসে কন্ট্রাকটার এর কাজ করেন। মমাদকাসক্ত ছেলের বাবা মোঃ ফরিদ শিকদার সাংবাদিকদের জানান, তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে আজাদ শিকদার (২৫) কয়েক বছর ধরে ইয়াবা গাঁজাসহ নানা রকম মাদকে আসক্ত।অনেক বার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছি, ইদানিং আবারও বেশি মাত্রায় মাদক সেবন শুরু করেছে আজাদ। মাদকের টাকা না পেলে প্রায়ই সে বাড়ীতে তার মায়ের সাথে ঝাগড়া ও ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো।
গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে আজাদ তার মায়ের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা দাবি করে। তার মা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে বটি নিয়ে তার মাকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হয় ও হাতের দুটি আঙুল কেটে দ্বিখণ্ডিত হয়। মা চম্পা খাতুনের চিৎকার শুনে বাড়ীর চারপাশের বসবাসকারী লোকজন এগিয়ে আসে।
এবং আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শালিখায় নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক চম্পা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আজাদের পিতা ফরিদ শিকদার বলেন শুধু মাদকের জন্য আজ নিজের গর্ভধারিণী,আত্মত্যাগী,নিঃস্বার্থ স্নেহময়ী,মমতাময়ী মাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। জানি না আল্লাহ পাক কি বিচার করবেন তবে এই দুনিয়ায় আমি তার বাবা হয়ে এমন পশুহৃদয় একটা মাদকাসক্ত ছেলের বিচার দাবি করছি প্রসাশনের কাছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত আজাদ এখনও গ্রেফতার হয়নি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।