সাব্বির হোসেন শরনখোলা সংবাদদাতাঃ
বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী নিয়োগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন তারা।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ হাবিব শিকাদার, মোঃ রুহুল আমিন শেখ, ফোরকান তালুকদার, ফিরোজা বেগম, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, আতিকুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, জনতা মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম যোগদান করার পরে তফসিল গোপন রেখে পছন্দের লোক দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে।
এরপর থেকে তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভা না করে সদস্যদের বাড়ি গিয়ে অথবা তার বাসায় ডেকে রেজুলেশনে স্বাক্ষর নিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে অফিস সহকারী
নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত বছরের (২০২০ সালের) ৭ জুলাই ম্যানেজিং কমিটির আটজন সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ি পুনঃরায় ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মোঃ রুহুল আমিন শেখ, মোঃ ফোরকান তালুকদার, মোঃ হেলাল উদ্দিন বাচ্চু, মোঃ বাচ্ছু বয়াতী ও ফিরোজা বেগমকে সদস্য হিসাবে কো-আপড করা হয়।
কিন্তু এ কমিটি গঠন করেও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে সভা না করে কমিটির সদস্যদের তার বাসায় ডেকে স্বাক্ষর নিয়ে ইচ্ছে মতো রেজুলেশন তৈরী করেন। এভাবে গত ১৭ নবেম্বের ২০২০ তারিখে প্রধান শিক্ষক কাউকে না জানিয়ে তার পছন্দে প্রার্থী মোঃ মিরাজ হাওলাদারকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেন।এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি স্বপন কুমার মিস্ত্রির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার কারনে বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্যে প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান।
জানতে চাইলে জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন করে সদস্যদের উপস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটির সভা করা হয়েছে।
এছাড়া অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মেধার ভিত্তিতে যাচাই করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, অফিস সহকারী নিয়োগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির উভয়েরই নিজস্ব স্বার্থ জড়িত থাকায় বিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ার চলমান থাকবে বলে জানা যায়।