শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাসহ সকল পাবলিক পরীক্ষা বন্ধের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১২ দফা সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিনি কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।
প্রস্তাবগুলো হলো:
১. সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে। সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যালান্স রেখে যেকোনো জনসমাগম বন্ধ করতে হবে।
২. কাঁচাবাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিংমল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে।
৪. যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এসএসমি, এইচএসসি, মাদরাসা, দখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখতে হবে।
৫. কভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা।
৬. যারা রোগীদের কন্ট্রাকে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা।
৭. বিদেশ থেকে বা প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়া।
৮. আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা।
৯. স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা।
১০. পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো ও মনিটরিং জোরদার করা।
১১. সব ধরনের সভা ভার্চুয়াল করা।
১২. পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।
প্রস্তাবনার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র এবং রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রস্তাবগুলো এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ে এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]