ডেস্ক রিপোর্ট দৈনিক শিরোমণিঃ খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণি পুর্বপাড়ার আবুল খায়েরের বাড়ীর ভাড়াটিয়া বেজেরডাঙ্গা আইয়ান জ্টু মিলের শ্রমিক(২৪)কে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সোয়া ৯টায় শিরোমণি তেতুলতলা রেলক্রসিংয়ের পাশে কামরুল ইসলামের গ্যারেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে পাশের ঘরে নিয়ে চারজন যুবক জোরপূর্বক পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন, অভিযুক্তরা মো. সুমন(২৭), গ্যারেজ মালিক মো. কামরুল ইসলাম(২৪), মো. আলামিন মল্লিক(২২) ও সজিব ওরফে জীবণ(২২) (মামলা নং-৬ তাং-১৯/৩/২২)। পুলিশ এজাহারে অভিযুক্ত ২নং আসামী গ্যারেজ মালিক ধর্ষক মো. কামরুল ইসলাম(২৪)কে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে।মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে, শিরোমণি পূর্বপাড়ার আবুল খায়েরর বাড়ীর ভাড়াটিয়া বেজেরডঙ্গা আইয়ান জুট মিলের শ্রমিক(২৪) গত ১৮ মার্চ শুক্রবার রাত ৯টায় তার স্বামী রাজমিস্ত্রীর হেলপার জাহিদ হাসানকে নিয়ে শিরোমণি বাজারের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। রাত আনুমানিক সোয়া ৯টায় শিরোমণি তেতুলতলা রেলক্রসিংয়ের পাশে মো. কামরুল ইসলামের ইজিবাইক গ্যারেজের সামনে আসলে শিরোমণি পূর্বপাড়া(৭নংওয়ার্ড)আফজাল মল্লিকের পুত্র মো. সুমন(২৭), মো. আব্দুল মালেকের পুত্র গ্যারেজ মালিক মো. কামরুল ইসলাম(২৪), আফজাল মল্লিকের পুত্র আলামিন মল্লিক(২২) এবং জামাল উদ্দিনের পুত্র সজিব ওরফে জীবণ(২২) তাকে এবং তার স্বামী জাহিদ হোসেনকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক গ্যারেজের মধ্যে নিয়ে স্বামীর মুখ এবং হাত বেধে গ্যারেজের পিছনের ঘরের মধ্যে নিয়ে প্রথমে সুমন ও কামরুল ইসলাম পরে আলামিন ও সজিব পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। যাওয়ার সময় ঘটনা কাউকে জানালে এবং মামলা করেলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। পরে ভিকটিমের স্বামী জাহিদ হোসেন তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় চারজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। মামলার অভিযুক্ত ২নং আসামী মো. কামরুল ইসলামকে পুলিশ রাতেই আটক করেছে। খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন ভিকটিম বেজেরডাঙ্গা আইয়ান জুট মিলের শ্রমিক বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি। তার কর্মস্থলের সুবাদে শিরোমণি পূর্বপাড়ায় আবুল খায়েরর বাড়ীতে ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ী খুলনার কয়রা থানার সড়িখালী গ্রামে। ভিকটিম বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পরপরই রাতে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মামলার অভিযুক্ত ২নং আসামী গ্যারেজ মালিক মো. কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত কামরুল ইসলামকে শনিবার সকালে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।