মোঃ রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)
চল্লিশ বছর ধরে ঘানি টানা, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার জোত আতাউল্যা গ্রামের সেই সুফিয়া বেগম(৫৫) এর পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ফেসবুক ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “আমরা গোপালপুরবাসী” ফেসবুক গ্রুপ ।
সুফিয়া বেগমকে দেয়া হয়েছে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি যন্ত্রচালিত ঘানি ও শীতবস্ত্র ।
রবিবার (১২ই ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ মল্লিক, সুফিয়া বেগমের নিজ বাড়ির আঙিনায় সুফিয়ার ঘানি ঘর উদ্বোধন করেন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক, ওসি(তদন্ত) মামুন ভুইঞা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, আমরা গোপালপুরবাসী ফেসবুক গ্রুপের এডমিনগন, গনমাধ্যমকর্মী প্রমূখ ।
বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি ঘানি পেয়ে উচ্ছ্বসিত সুফিয়া বেগম বলেন, আমার জীবনে এমন পরিবর্তন আসবে কখনো কল্পনাও করতে পারিনি, এখন থেকে আর বুকে চেপে ঘানি ঘুড়াতে হবে না, নতুন এই ঘানি দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আমার আগামী দিন গুলো সুখের হবে, আর কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না ।
উল্লেখ্য, গত ১২ই নভেম্বর সর্বপ্রথম “চল্লিশ বছর ধরে অমানবিক ঘানিতে আটকা সুফিয়া বেগমের জীবন”
শিরোনামে দৈনিক শিরোমণির অনলাইন ভার্সনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ ও স্থানীয় অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গোপালপুর বার্তায় ভিডিও প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয় ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ মল্লিক ও পূর্ববর্তী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন ছুটে যান সুফিয়া বাড়িতে , তার খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি তাকে সব ধরনের সহযোগিতা আশ্বাস দেন সেসময় ।
এরপর পরই এগিয়ে আসতে থাকে অনেকেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হবার পাশাপাশি, যমুনা টিভি, ডিবিসি ও আরটিভি সহ বেশকিছু প্রথমসারির গনমাধ্যমে সুফিয়া বেগমের অমানবিক কষ্ট নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।
সুফিয়া বেগমের অমানবিক কষ্ট লাগবে দেশ বিদেশের অনেকেই অর্থ সহায়তা পাঠান, অর্থ সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শেখ সোলায়মান নামের স্থানীয় বংশীবাদক ।