সবুজ ভদ্র, বিশেষ প্রতিনিধি, চাঁদপুর : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক শিশু সন্তানকে হত্যা করে মাটির ঘরের মধ্যে পুঁতে রাখলো সৎ মা। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজীগঞ্জ ও রামগঞ্জ দুই উপজেলার মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ২৯ আগস্ট ২০২২ খ্রি. সোমবার বিকালে হাজীগঞ্জ ও রামগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শিশুর লাশ উদ্ধারকালে উৎসক জনতার ভিড়ের জন্য ব্যাপক বেক পেতে দেখা যায়।
ঘটনার তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ০৩ দিন পূর্বে হাজীগঞ্জ উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের শাহ্ মিরানের প্রথম স্ত্রী তিন বছরের শিশু সন্তান আহম্মদ এর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের পরিবার ও সৎ মা শিশু সন্তান হারিয়ে গিয়েছে বলে প্রচার করে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসলে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এর তথ্যের ভিক্তিতে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখেন। পুলিশের তদন্তে সিসি ফুটেজে দেখেন সৎ মা কোহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ী লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর চৌকিদার বাড়ীতে নিখোঁজ হওয়া শিশু আহম্মদকে নিয়ে যায় কিন্তু ফেরার সময় আর শিশুকে সাথে নিয়ে আসেনি। পুলিশের কাছে বিষয়টি সন্দেহ হলে এবং বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সৎ মা কোহিনূরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসা করেন। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসার পর চাঞ্চল্য তথ্য বেরিয়ে আসে। এক পর্যায় সৎ মা কোহিনূর স্বীকার করেন শিশুটিকে হত্যা করে তার বাবার বাড়ির বসতঘরে খাটের নিচে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে।
তথ্য উদঘাটনের সাথে সাথে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘাতক মহিলাকে নিয়ে রামগঞ্জ থানার পুলিশের সহায়তায় শিশুর লাশ দরবেশপুর চৌকিদার বাড়ী থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
শিশুর লাশ উদ্ধারের সময় প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল, হাবিব ও জহিরসহ উপস্থিত ব্যক্তিরা বলেন, আমরা খবর শুনে হাজীগঞ্জ থেকে এ রামগঞ্জে এসে দেখি পুলিশ ঘরের ভিতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোবাইর সৈয়দ বলেন, আমরা তদন্তপূর্বক জানলাম সৎ মায়ের হাতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। পাশ্ববর্তী রামগঞ্জ থানার দরবেশপুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা মামলা ও লাশ ময়নাতদন্তের কাজ পক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৩ views