হাফিজুর রহমান, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় প্রচণ্ডশীতে ও ঘন কুয়াশায় জনজীবনবিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, যানবাহনও চলছে ধীরগতিতে । হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে শরীর উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন শীতার্ত এসব সাধারণমানুষ। প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক চলাফেরাও প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগেরপ্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার এক প্রতিবেদনে বলেন, ‘তীব্র শীতের কারণেশিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি শীতজনিত রোগেভুগছে। এসময় তাদের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল হতে হবে।আগুন জ্বালিয়ে শরীরকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করতে হবে। এদিকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড শীতেও ঘনো কুয়াশার কারনে জনজীবন অনেকটাইঅচল হয়ে পড়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষজন কাজেযেতে পারছেন না শীতের কারণে। বিভিন্ন স্থানেখড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতার্তদেরমাঝে কম্বল বিতরণ করেছে সরকারি ও বেসরকারিপ্রতিষ্ঠান।শীতের পোশাকের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষরাছুটছেন ফুটপাতে, পুরনো কাপড়ের দোকানে।এদিকে,শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কুষ্টিয়ায় গরম কাপড়েরচাহিদাও বেড়েছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারেরসদস্যদের আনাগোনা থাকায় ফুটপাতের বেচাকেনাইজমজমাট হয়ে উঠেছে। আর নতুন কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় পুরনো কাপড়ের দোকানের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শহরের এনএস রোডেরপাবলিক লাইব্রেরি মাঠের সামনে, জেলা পরিষদেরসামনে ও বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনেসহ বিভিন্নস্থানে বসেছে পুরোনো কাপড়ের দোকান।পুরোনো কাপড় বিক্রেতারা বলেন, ‘শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড়ের চাহিদাও বেড়েছে। দাম কমহওয়ায় ক্রেতারাও এসব গরম কাপড় কেনার জন্য ঝুঁকছেন’।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]