বিল্লাল হোসেন সোহাগ শেরপুর প্রতিনিধি:চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ সীতাকুণ্ডের ঘটনায় নিহত ১০ ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মধ্যে রয়েছেন শেরপুরে সন্তান রমজানুল ইসলাম রনি (২৫)। রনির মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনরা। তাদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
তিনি শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের বালুঘাটা গ্রামের দলিল লেখক আকরাম হোসেন আঙুরের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে। রমজান সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে ও স্থানীয়ভাবে রমজানের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও নিহত রমজানের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৪ জুন শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে সীতাকুণ্ডে খবর পেয়ে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যান রমজানুল ইসলাম রনি। ওইসময় বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রমজানুল ইসলাম। তার লাশ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে পিতা আকরাম হোসেন আঙুর হাজতে থাকায় রমজানের মা কামরুন্নাহার রত্না ও জ্যাঠা আবুল কাশেম চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
রমজানের চাচা স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. জামান মিয়া জানান, রমজানুল ইসলাম রনি গত দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসের চাকরিতে ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগ দেন এবং তিন মাস আগে সে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বদলি হয়। এরপর থেকেই আট মাস আগে বিয়ে করা শ্রীবরদীর বাসিন্দা স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই বাসা নিয়ে থাকছিল রমজান। রমজানের ছোটভাই তারিকুল ইসলাম রকিব ময়মনসিংহের একটি কলেজে ডিগ্রীতে পড়াশোনা করেন। শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের খবর শুনে দায়িত্ব পালনে বাসা থেকে গেঞ্জি পড়েই বেরিয়ে যায় রমজান। এরপর থেকে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তার মোবাইল ফোনে না পাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বিকৃত লাশের মাঝে গেঞ্জি দেখে তার লাশ শনাক্ত করে স্ত্রী রূপা খাতুন।