শেরপুর প্রতিনিধি:শেরপুরে ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়ালকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ ১১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই। ২৬ জুন রোববার গভীর রাতে আহত ব্যবসায়ীর বড় ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় মামলাটি করেন।মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার ২৫ জুন শনিবার রাতে শহরের নিউমার্কেট এলাকায় বাদীর ছেলে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী কারিমুল হাসান জিহাদ ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার তৌফিকুর রহমান তারিফের ওপর অতর্কিত হামলা করেন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। খবর পেয়ে জিহাদের চাচা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের নিয়ে হামলাকারীদের বাধা দিতে চেষ্টা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা আব্দুল আউয়াল শেখকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এই ঘটনার পরদিন রাত সাড়ে ৮টায় শহরের নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে আব্দুল আউয়ালের ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠান জিহাদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে গিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা তার অনুসারীদের নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। সেসময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল প্রতিবাদ করলে রেজা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। একপর্যায়ে রেজার সঙ্গে থাকা অনুসারীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করেন। এসময় স্থানীয়রা তাদের বাধা দিতে চেষ্টা করলে তাদেরও অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।পরে ব্যবসায়ী আউয়ালকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক। সোমবার দুপুরে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে মমেক হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন দেবনাথ বলেন, মামলা গ্রহণের পর থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।আহত ব্যাবসায়ীর বড় ভাই কামাল মিয়া বলেন, ঘটনার পর মামলা করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার না করায় আমরা আতঙ্কে আছি। এদিকে আমার ভাইও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। কখন কী হয়ে যায়, বলা যাচ্ছে না। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।তবে এ বিষয়ে জানতে শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া শহরের নিউমার্কেট এলাকায় তার অফিসে গিয়েও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ বলেন, আহতের বড় ভাই মামলা করেছে। এরইমধ্যে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]