শেরপুর প্রতিনিধি: ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একপাল বন্যহাতির তাণ্ডবে একটি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।(০৪ নভেম্বর) শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই দিনমজুরের নাম আব্দুল মোতালেব। তিনি এই এলাকার মৃত জানলি শেখের ছেলে। এদিকে সংবাদ পেয়ে (৫ নভেম্বর) শনিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী বন সংরক্ষক (প্রবি) ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মো. রহমত উল্ল্যাহ প্রমুখ।ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মোতালেব জানান, রাত আড়াইটার দিকে বন্যহাতির একটি দল আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমার বসত ঘরের সিমেন্টের খুঁটি, বেড়া, রান্না ঘর ভেঙে তছনছ করে। বসত ঘরে থাকা আলনা, ফ্রিজ, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পা দিয়ে পিষে নষ্ট করে। এ সময় ঘরবাড়ি ফেলে জীবন বাঁচাতে পালিয়েছেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তান্ডব চালিয়েছে বন্যহাতির দল। শুধু তাই নয়; ঘরে রাখা চাল ও ধান নষ্ট করেছে ক্ষুধার্ত হাতির দলটি। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রহমত আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে। বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে কাঁচা ধান, সবজি, গাছ-পালাসহ মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।সহকারী বন সংরক্ষক (প্রবি) ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশ কে বলেন, গারো পাহাড়ে প্রায় বছরই বন্যহাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে জানমালের ক্ষতি করে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়। বন বিভাগের আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা করা হবে।