ম্যাচের শেষে গিয়ে উত্তেজনার পারদ যেন তুঙ্গে উঠল। পিছিয়ে পড়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল পিএসজি। হাল ছাড়ল না সাঁত এতিয়েনও। পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত পিএসজি পেল ঘরের মাঠে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা। প্যারিসে নিজেদের মাঠে রবিবার লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা।
ঘরের মাঠে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে শেষ তিন ম্যাচেই হার-ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার অভিযানে শুরু থেকে বল দখলে রেখে আক্রমণে আধিপত্য করলেও প্রথমার্ধে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচেও ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।
অবশ্য ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। কিন্তু পাবলো সারাবিয়ার শট পোস্টে বাধা পায়। ফিরতি বল দানিলো ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। চার মিনিট পর স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সারাবিয়ার আরেকটি শট ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক গ্রিন।
বিরতির পরও একইভাবে চলতে থাকা ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে মেলে প্রথম গোলের দেখা। খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। বাঁ দিক থেকে মিগেল ত্রাওকোর দারুণ ক্রসে স্লাইডে গোলটি করেন দোনি বোয়াঁগা।
দুই মিনিট পরেই দারুণ নৈপুণ্যে সমতা টানেন এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে আন্দের এররেরার উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের টোকায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
৮৭তম মিনিটে সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে। ডি-বক্সে একা ঢুকে পড়া বিশ্বকাপজয়ী এ তারকাকে গোলরক্ষক ফেলে দিলে পেনাল্টিটি পায় পিএসজি।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বোয়াঁগার ডান পায়ের কোনাকুনি শট গোররক্ষক সার্জিও রিকো ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বল হাতে রাখতে পারেননি। গোলমুখে ছুটে যাওয়া আমুমা টোকায় বল জালে পাঠান। ঘরের মাঠে আবারও পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা।
তবে ছয় মিনিট যোগ করা সময়ে শেষের আগের মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেন ইকার্দি। ডান দিক থেকে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ক্রসে গোলমুখে হেডে দলকে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসান আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
এ জয়ে ৩৩ ম্যাচে ২২ জয় ও তিন ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট হলো ৬৯। গত শুক্রবার মোঁপেলিয়ের সঙ্গে ১-১ ড্র করা লিল সমান ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]