ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। এরইসঙ্গে টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে আসরটির শেষ ষোলো নিশ্চিত করল ফিফার শীর্ষ দেশটি।
এ ম্যাচে ইনজুরি থেকে ফিরেই নায়ক বনে যান কেভিন ডি ব্রুইনা। দল শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পরও একটি গোলে সহায়তা করে নিজে একটি গোল করে জয় নিশ্চিত করেন। এ ম্যাচে ডেনিশ ফুটবলার ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের সম্মান ও সমর্থনে ১০ মিনিটে গ্যালারিতে উপস্থিত সব দর্শক একসঙ্গে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে থাকে। গত শনিবার এই মাঠেই ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে কার্ডিয়াক অ্যারস্টে মাঠে লুটিয়ে পড়েন। মাঠে দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবশ্য তিনি এখন সুস্থ আছেন।
বৃহস্পতিবার কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে অবশ্য ম্যাচের একেবারে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বেলজিয়াম। দলটির জেসন দেনায়ের ভুলে গোলটি হজম করে তারা। তার ভুল পাসে প্রতিপক্ষের পিয়ের-এমিলে হোয়বিয়ের্গ বল পেলে তিনি পাস দেন ইউসুফ পোলসেনকে। লাইপজিগের এই ফরোয়ার্ড বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে দলকে লিড এনে দেন ।
প্রথমার্ধে আরও বেশকিছু সুযোগ তৈরি করে ডেনমার্ক। তবে সেখান থেকে গোল আদায় করে নিতে পারেনি। অপরদিকে বেশ ভুগতে দেখা যায় বেলজিয়ামকে। এ সময় উল্লেখ যোগ্য কোনো আক্রমণ রচনা করতে পারেনি তারা।
অবশ্য বিরতির পর স্বরূপে ফেরে বেলজিয়াম। এরই ধারাবাহিকতায় ৫৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে দলটি। রোমেলু লুকাকুর পাস থেকে দেন কেভিন ডে ব্রুইনেকে। চোট কাটিয়ে ফেরা এই মিডফিল্ডার তোরগান হ্যাজার্ডের দিকে বল বাড়িয়ে দেন। আর ফাঁকায় বল পেয়ে বাকি কাজ সারতে কোনো সমস্যা হয়নি হ্যাজার্ডের।
পরে ৭০তম মিনিটে ডি ব্রুইনার গোলেই জয় নিশ্চিত করে বেলজিয়াম। সতীর্থের পাস থেকে ২০ গজ দূর থেকে দারুণ এক জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার।
এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল বেলজিয়াম। তবে টানা দ্বিতীয় হারে পরের রাউন্ডে ওঠার পথটা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ল ডেনমার্কের।
আগামী সোমবার নিজেদের শেষ ম্যাচে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বেলজিয়াম। রাশিয়া ও ডেনমার্ক একই দিন মুখোমুখি হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]