উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া,বাগেরহাট) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ এ নারী ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোন স্থান হতে উল্লেখযোগ্য কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর কিংবা অভিযোগ পাওয়া যায়নি।কচুয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার পর গত ২০ সেপ্টেম্বর ৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কচুয়া সদর ইউনিয়নের প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মন্নু মারা যাওয়ায় সেখানে ২০ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কচুয়া সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শিকদার হাদিজ বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় বিজয়ী হন। বাকী ছয়টি ইউনিয়ন(গজালিয়া, গোপালপুর,রাড়িপাড়া, ধোপাখালী, মঘিয়া ও বাধাল) এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ২০ সেপ্টেম্বর ।কচুয়া উপজেলার কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বচনের রিটার্নিং অফিসার উপজেলা প্রকৌশলী মো: আনিছুর রহমান জানান, কচুয়া সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শিকদার হাদিউজ্জামান হাদিজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন । তবে ২০ নভেম্বর সাধারন সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডে গোলাম শোকোরানা রব্বানী (টিউবয়েল) প্রতীক নিয়ে ৮১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রার্থী খান মারুফ আলী (আপেল) প্রতীক নিয়ে পান -১০১ ভোট,। ২নং ওয়ার্ডে জাকির হাওলাদার (ভ্যান গাড়ী) প্রতীক নিয়ে ৫১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রার্থী মো: নিজাম শেখ (ফুটবল) প্রতীক পান ৪৪২ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে সজ্ঞীব সাহা বিনা প্রতীদ্বন্দ্বীতায় বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। ৪নং ওয়ার্ডে মামুন সেখ (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে ৬৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রার্থী মো: শরিফুল ইসলাম (মোরগ) প্রতীক নিয়ে পান শূন্য ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে আরিফুল ইসলাম ডলার (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে ৫০০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রার্থী নেছার শিকদার (মোরগ) প্রতীক নিয়ে পান ৩৫০ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে মো: সাইফুল ইসলাম সাবু (মোরগ) প্রতীক নিয়ে ৫১২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রার্থী হাজরা রুম্মান (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে পান ২৭০ ভোট। ৭নং ওয়ার্ডে শিকদার মাহাবুবুর রহমান (মোরগ) প্রতীক নিয়ে ৫৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন, তার নিকট প্রার্থী মামুন শিকদার (তালা) প্রতীক নিয়ে পান ২৯১পান। ৮নং ওয়ার্ডে মুহাম্মাদ তাওহীদুল ইসলাম (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে ৫১২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন, তার নিকট প্রার্থী ইসমাইল মোল্লা (তালা) প্রতীক নিয়ে পান ৪৪৭ভোট। ৯নং ওয়ার্ডে শহীদুল ইসলাম শিকদার ( মোরগ) প্রতীক নিয়ে ৫৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন, তার নিকট প্রার্থী মো: আসাদুজ্জামান (তালা) প্রতীক নিয়ে পান ৫০৩ ভোট।সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১,২,৩নং ওয়ার্ডে মোহিনী রেগম (বই) প্রতীক নিয়ে ১৮৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন, তার নিকট প্রার্থী সেলিনা বেগম (তালগাছ) প্রতীক নিয়ে পান ৯৫৯ভোট।৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে মোসা: মুক্তা বেগম (বক) প্রতীক নিয়ে ১৫০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন, তার নিকট প্রার্থী রনজিদা বেগম (হেলিকাপ্টার) প্রতীক নিয়ে পান ৭৭৪ ভোট। ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে জেসমিন আক্তার (মাইক) প্রতীক নিয়ে ১৬৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন, তার নিকট প্রার্থী জিবুননেছা (বক) প্রতীক নিয়ে পান ১২৮২ ভোট।এসময় নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল, কচুয়া থানা অফিসার ইন চার্জ মো: মনিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার হিমাংশূ প্রকাশ বিশ্বাস সহ সকল রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হবার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি নব নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিদের স্বাগত জানান।উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম বা অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ আমরা পাইনি। আর নারী ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষনীয় ছিল।
৩৮ views