সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের মতো দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর মধ্যে চার কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। এরপরও লেনদেনের একপর্যায়ে এই চার কোম্পানির বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। অর্থাৎ যাদের কাছে কোম্পানি চারটির শেয়ার আছে তারা দিনের সর্বোচ্চ দামেও বিক্রি করতে চাননি।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। শুরুতে সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও লেনদেনের শেষ দুই ঘণ্টাজুড়ে দরপতন হতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের।
ফলে দেখতে দেখতে বড় পতনে রূপ নেয় শেয়ারবাজার। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫২ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ১৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে টানা দুই দিনের পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমলো ৮৫ পয়েন্ট।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২৬৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭০টির। আর ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম বাড়ার তালিকায় সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করা চার কোম্পানি হলো- বিডি থাই ফুড, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার ও ন্যাশনাল টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হলেও একপর্যায়ে বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।
এদিকে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৯৮ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৬ কোটি ৭৫ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাওয়ার গ্রিড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ফু-ওয়াং ফুড, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ফরচুন সুজ ও লিন্ডে বিডি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৫৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১২টির ও ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]