গাজীপুর প্রতিনিধি :রাকিব হাসান আকন্দ
গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা বিএনপির সভামঞ্চ ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ মডেল একাডেমী মাঠে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ওই মঞ্চ তৈরী করা হয়েছিল। আয়োজকেরা জানান রোববার রাতের কোনো এক সময়ে কে বা কারা তা ভেঙ্গে দিয়েছে। আহবায়ক কমিটি গঠনের উদ্দেশে সভামঞ্চটি তৈরী করা হয়েছিল। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির জানান, আগে থেকেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সভা আহবান করা হয়। ওই সভায় গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুল হক মিলন প্রধান অতিথি ও সদস্য সচিব কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু রোববার (২৪ জানুয়ারী) দিবাগত গভীর রাতে কে বা কারা মঞ্চ ভাংচুর ও কুপিয়েছে তা চিহ্নিত করা যায়নি। আমরা সোমবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে ঘটনা জেনে কর্মসুচী বাতিল করেছি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কায়সার মৃধা খোকন জানান, কয়েকজন কর্মী নিয়ে তিনি সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় ব্যানার সাঁটাতে গিয়ে মঞ্চের বাঁশ নামানো, মঞ্চ ভাংচুর, কাপড়-চোপড় টেনে হিঁচড়ে ছিড়ে মাটিতে ফেলে দেয়ার দৃশ্য দেখতে পান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনা শোনে সোমবার সকালে আশপাশের বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন। পরে সকাল আটটার দিকে জেলা গোয়েন্দা ও শ্রীপুর থানা পুলিশের সদস্যরা নেতা-কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
মুলাইদ মডেল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা মকবুল হোসেন বলেন, মহামারী করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মাঠটি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের লোকজন নানা কর্মসুচীতে অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দও তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ করেছিলেন। তবে প্রশাসনিক অনুমতি ছিল কিনা তা আমার জানা নেই।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, সভার কোনো পূর্বানুমতি না থাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আমিনুল ইসলাম জানান, সেখানে কোনো সভার অনুমতি কেউ নেয়নি এবং এ ব্যাপারে পুলিশ বাহিনী অবগত ছিল না। মঞ্চ ভাংচুরের কোনো অভিযোগও কেউ করেনি।