গাজীপুরের শ্রীপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর মঙ্গলবার (০৬ জুন) সকালে ওই ছাত্রীর জ্ঞান ফিরে এলে স্বাধীন (২২) নামে এক কিশোরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কমপক্ষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করেন।
ফারদিন হাসান স্বাধীন নামে ওই কিশোর শ্রীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড (মার্কাজ মসজিদ) এলাকার সুলতান উদ্দিনের ছেলে।শ্রীপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই ছাত্রী শ্রীপুরের একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সোমবার (০৫ জুন) সকালে শ্রেণী পরীক্ষায় অংশ নিতে নিজ বাড়ি গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা থেকে বের হয়। ওইদিন বিকেল তিনটার দিকে বাড়ি না ফেরায় ছাত্রীর মুঠোফোনে কল করলেও রিসিভ হয়নি। বিকেল ৪টার পর ছাত্রীর ফোন অপর এক অজ্ঞাত ব্যাক্তি রিসিভ করেন। ওই ব্যাক্তি জানান ছাত্রীকে গোসিঙ্গা-রাজাবাড়ী সড়কের কুটুমবাড়ী রিসোর্টের সামনে থেকে কতিপয় যুবক ইজিবাইকে তুলে দিয়েছে। পরে শ্রীপুরের কাপাসিয়া সড়কের পটকা এলাকা থেকে ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (০৬ জুন) সকালে ওই ছাত্রীর জ্ঞান ফিরে এলে সে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষনের কথা জানায়।
ছাত্রী আরো জানান, তার ছোট ভাইয়ের নাম স্বাধীন৷ সে ওই ছাত্রীর কাছে নিজেকে তার ছোট ভাইয়ের বন্ধু পরিচয় দিয়ে তার সাথে দুইদিন আগে কথা বলে। সোমবার (০৫ জুন) কলেজ থেকে বের হলে ছোট ভাইয়ের বন্ধু পরিচয় দেওয়া স্বাধীন তাকে দেখে ডাব খাওয়ানোর প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে স্বাধীন তাকে জোর করে ডাব খাওয়ায়। ডাব খাওয়ার পর থেকে সে আর কিছু বলতে পারে না। স্বাধীন তার শরীরে থাকা নাক ফুল, কানের দুল, বেসলেট ও গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মো: নাসিম জানান, ওই ছাত্রীর বাবা এসেছিলেন। সংশ্লিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে এজাহার দায়ের করতে বলেছি।