কারখানার কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ শুভ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের ছেলে। সে মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন খানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় সাদ-সান টেক্সটাইল চাকরি করতেন।
নিহতের স্ত্রী শোভা বলেন, আমার স্বামী তার কর্মস্থল থেকে নিয়মিত বেতন পেতো না। তাছাড়া যে বেতন পেতো তা দিয়ে সংসারে অভাব লেগেই থাকতো। এসব টেনশনে সে প্রায়ই চিন্তিত থাকতো এবং বলতো অনিয়মিত বেতনে চাকরি করতে ইচ্ছে করে না। যেদিক চোখ যাই সেদিকে চলে যেতে ইচ্ছে করে। এসব টেনশন মাথায় না নেওয়ার জন্য তাকে প্রায়ই বুঝাতাম। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় অফিস থেকে বাসায় ফিরে রাতের খাবার খাওয়ার সময় এসব বিষয়ে আমার সাথে শেয়ার করতেছিল। আমি ওয়াশরুমে গেলে সে বাহির থেকে ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তার স্ত্রী শোভা ডাকাডাকি করার পর সাড়াশব্দ না পেয়ে ওয়াশ রুমের ভেন্টিলেটরের কাছে গিয়ে চিৎকার চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙে শুভর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। তারা ওয়াশরুমের দরজার সিটকানি বাহির থেকে খুলে দিলে শোভা বের হয়ে তার স্বামীকে ফাসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
নিহতের মামা জিয়াউর রহমান বলেন, শুভ এবং আমি একই কারখানায় চাকরি করি। রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে তার স্ত্রী শোভা আমাকে ফোন করে জানায় শুভ আত্মহত্যা করেছে। পরে তাদের বাসায় গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে শুভকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সুজন কুমার পন্ডিত বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।