নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল হাই মিয়া হিরণ জানান, নিহত আলামিন রাজাবাড়ী ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর (সাটিয়াবাড়ি) এলাকায় ভাড়া থেকে ডার্ট কম্পোজিট পোশাক কারখানায় চাকুরি করতো। স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক তাকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতো এবং ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিতো। সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আলামিনের এক নারী সহকর্মীর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে তাকে স্থানীয় সাইফুল ইসলামের বাড়িতে ডেকে নেয়। ওই নারী সহকর্মী স্থানীয় সাইফুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটে। ওই বাড়ী থেকে কতিপয় বখাটে আলামিনকে পাশের বাগানে নিয়ে মারধর করে চলে যায়। এলাকাবাসী অচেতন অবস্থায় আলামিনকে পড়ে থাকতে দেখে আলামিনের বোন রোজিনা খাতুনকে খবর দেয়। সেখান থেকে হাসাপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকার ডার্ট কম্পোজিট পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, তালাকপ্রাপ্ত এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে আলামিন কয়েক মাস ধরে পরকিয়া জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময় সে ওই নারীর ভাড়া বাসায় আসা-যাওয়া করতো। পরবর্তীতে আলামিনের স্ত্রী সন্তান রয়েছে জানতে পারলে ওই নারী সহকর্মী তাকে বাসায় আসতে নিষেধ করে। নিষেধ স্বত্তেও আলামিন মাঝে মধ্যে ওই নারী সহকর্মীর ভাড়া বাসায় আসা-যাওয়া করতো এবং তাকে উত্যক্ত করতো। সোমবার রাতে আবারো আলামিন ওই নারীর বাসায় গেলে নারী ডাকচিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী তাকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে রাজেন্দ্রপুর ক্লিনিক ও গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পোস্টমর্টেম করা হবে এবং তার স্বজনেরা অভিযোগ দিলে মামলা রুজু করা হবে।