রাকিব হাসান আকন্দ গাজীপুর প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রতারনার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি (নজালী পাড়া) গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাব্বির আহম্মেদ ফরিদ (৩০) ও বাঘমারা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে তানভীর আহমেদ (৩৫)।সাব্বির আহম্মেদ ফরিদ শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং তানভীর আহমেদ নিজেকে একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছে পরিচয় দেয়।বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখন্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মিথ্যা মামলার নথি দেখিয়ে ও তা থেকে অব্যাহতির জন্য এক ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় দুই যুবককে স্থানীয়রা আটক করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে এ সংক্রান্ত একটি মামলা রুজু করে। মামলাটি করেন কেওয়া পূর্বখন্ড গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে বৈরাগীরচালা ফাতেমাতুজ জহুরা (রা:) জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল হালিম।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেনের ভাষ্য ও মামলার বিবরনে জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টায় অভিযুক্তরা তাদের ৫ সহযোগীকে নিয়ে বৈরাগীরচালা গ্রামের আনোয়ারা মান্নানা ও আনোয়ারা প্যাকেজিং কারখানার (দুই ফ্যাক্টরির) মাঝে র্যাব ও পুলিশের লোক পরিচয়ে ভিকটিমের পথরোধ করে। অভিযুক্তরা ভিকটিমকে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা, একটি ধর্ষন ও একটি রাষ্ট্রদ্রোহীর ভুয়া মামলার নথি দেখায়। ওই মামলাগুলোর কারনে ভিকটিমকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। পরে তিন লাখ টাকা দাবী করে একদিনের সময় দিয়ে চলে যায়। পরে ১৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টায় ওই অভিযুক্তরা ভিকটিমের বাড়ির সামনে এসে নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে যায়। পরদিন ২০ এপ্রিল রাতের একই সময়ে
ওই একই স্থানে বৈরাগীরচালা এলাকায় ভিকটিমের পথরোধ করে আরো এক লাখ টাকা দাবী করে। ওই রাতে তাদরেকে ভিকটিম নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ইসলামী ব্যাংক মাওনা শাখার ৫০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করে। পরে ওই টাকা তারা ২১ এপ্রিল
ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ ঘটনায় আরো ৩ লাখ টাকা দিতে হবে বলে বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ফোন করে দাবী করতে থাকে। ভিকটিম আব্দুল হালিম জানায়, ১০ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে অভিযুক্তরা
ওসি’র জন্য ওই তিন লাখ টাকা নিতে আসে। পরে তাদের আচার-আচরন সন্দেহ হলে তাদেরকে একটি কক্ষে বসিয়ে কথাবার্তা বলার সময় স্থানীয় অনেক লোক জড়ো হয়।পরে তাদের সাথে থাকা ওই দুইজন অভিযুক্ত ছাড়া কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে থানায় ঘটনা অবগত করলে পুলিশ এসে ওই দুই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান,অভিযুক্তরা ঘটনা পুলিশ এবং উপস্থিত স্থানীয় লোকদের কাছে স্বীকার করে। এ ব্যাপারে একটি মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।