গাজীপুর প্রতিনিধি রাকিব হাসান আকন্দঃ ধর্ষন মামলা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আসামি রাব্বিকে (২৪) গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। সে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারী) সকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে শ্রীপুর থানায় সোপর্দ করে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন রাত ১০ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ধর্ষণের শিকার কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী এবং গাজীপুর ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের বাসিন্দা। কিশোরীর মামা জানান, করোনার সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তার কিশোরী ভাগ্নি বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো। কিশোরী ও তার ছোট ভাইকে বাড়িতে রেখে তাদের মা ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামীর কাছে চলে যান। ৩০ নভেম্বর রাতে কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘরের বাইরে বের হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিবেশী রাব্বি তার মুখ চেপে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর কাউকে ঘটনা না বলার জন্য জীবনে মেরে (খুন) করার হুমকি দেিয় চলে যায় রাব্বি। পরে কিশোরী তার স্বজনদের ঘটনাটি জানায়। স্থানীয় প্রভাবশালীরা মীমাংসার কথা বলে কিশোরীর মাকে রাব্বির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিতে জন্য চাপ দেয়। পরে ঘটনার দেড় মাস চলে গেলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা টালবাহানা শুরু করলে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি কিশোরীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় রাব্বিকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামী রাব্বি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েও তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। মামলা তদন্তকালে আসামী রাব্বি বিদেশ চলে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে জানতে পেরে তার পাসপোর্ট নাম্বারসহ অন্যান্য যাবতীয় তথ্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবগত করা হয়। পরে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারী) সকাল পৌনে ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রস্তুতির সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ সন্ধ্যায় রাব্বিকে থানায় নিয়ে আসে। আগামীকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারী) তাকে আদালতে পাঠানো হবে