আল–জাজিরার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের পর সরকারের নেতৃত্ব দেবেন পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের পর এক মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন করতে হবে পার্লামেন্টকে।তবে এটা ঠিক পরিষ্কার নয়, পার্লামেন্ট নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবে কি না। আর যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, তিনি সাধারণ মানুষ বা বিক্ষোভকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন কি না।এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়, গোতাবায়া রাজাপক্ষের দলের সংখ্যারগরিষ্ঠতা রয়েছে পার্লামেন্টে। ফলে এই দলের সহযোগিতা ছাড়া নতুন সরকার গঠন করা কঠিন। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, সেই বিক্ষোভ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
নতুন সরকার গঠন না হলে শ্রীলঙ্কার আর্থিক সংকট সমাধানের সম্ভাবনা কম। কারণ, আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) অধীনে অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু এর জন্য দেশটিতে বৈধ সরকার প্রয়োজন। কারণ, এই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই অর্থ দিতে পারবে আইএমএফ। কোনো দেশ অর্থ দিতে চাইলেও শ্রীলঙ্কায় নতুন সরকার দরকার। ফলে আইএমএফ ও বিভিন্ন দেশ চাইছে, শ্রীলঙ্কার চলমান সংকটের সমাধান দ্রুত হোক।এ কারণে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইএমএফ। এ প্রসঙ্গে রোববার আইএমএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করছি, বর্তমান সংকটের সমাধান হবে। এটা হলে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আলোচনা পুরনায় শুরু করা সম্ভব হবে।’
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]