1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের নামে মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

মাইদুল ইসলাম গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১
মাইদুল ইসলাম গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার যুগ্ম সম্পাদক ও নিউজবাংলার গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি পিয়ারুল ইসলামের নামে পিবিআই কর্তৃক মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। প্রেসক্লাব গাইবান্ধার উদ্যোগে রবিবার দুপুরে গাইবান্ধা নাট্যসংস্থার সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে জেলার ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি খালেদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক পিয়ারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, সহ-দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সালাম আশেকি, প্রচার সম্পাদক জান্নাতুন নাঈম, পলাশবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন, ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জামিরুল ইসলাম সম্রাট, কার্যকারী সদস্য শাজাহান সিরাজসহ নিহত ছকুর পরিবারের সদস্যরা। বক্তারা বলেন,‘গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ছকু মিয়া নামে এক রিকশাচালককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন ও পরবর্তী সময়ে তার মৃত্যুর ঘটনায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করায় পিয়ারুল ইসলামকে নারী নির্যাতনের একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তারা বলেন, ‘আদালতে মামলার আবেদন জমা পড়ার পর বিচারক মামলাটির তদন্ত দেন গাইবান্ধা পিবিআই’কে। কিন্তু পিবিআই এর তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই দিপঙ্কর সরকার বাদিপক্ষে প্রভাবিত হয়ে ও আসামিপক্ষের কাছে ঘুষ না পেয়ে পিয়ারুলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। তার এই মিথ্যা প্রতিবেদনের কারণে মামলার আসামি হয়েছে সাংবাদিক পিয়ারুল।’অবলম্বে এই মামলাটি পুণরায় তদন্ত, বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বক্তারা তদন্তকারি কর্মকর্তা দিপঙ্কর সরকারের শাস্তির দাবিও জানান। প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি খালেদ হোসেন বলেন, ‘রিকশাচালক ছকু হত্যার ঘটনাটি জেলায় আলোচিত। সেই মামলার আসামিরা জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরে উল্টো হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে আসামিরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সাংবাদিকসহ কয়েকজনের নামে মামলা করেছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হোসেন বলেন, ‘এই মামলাটি পুণরায় তদন্ত করতে হবে। নতুবা বিচার বিভাগীয় তদন্তে আনতে হবে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি মেনে নেয়া হবে না।’নিহত সেই রিকশাচালক ছকু মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হককে গ্রামছাড়া করার পর তিনি পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। মানববন্ধনে মোজাম্মেলের আশ্রয়দাতা কৃষক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘পিবিআই মোজাম্মেলকে ডাকছিল। আমি আর কয়েকজন তার কাছে গেছি। সব শোনার পর ওই পুলিশ (তদন্তকারি কর্মকর্তা) হামার কাছে মন্টু (টাকা) চাইছিল ১৫ হাজার। আমি কছি; সত্যের পথে ফাঁসিতে যাতে রাজি আছি। কিন্তু ঘুশ দিব না।’তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পিবিআই কছিল; মন্টু দিলে মামলা থাকি সব নাম কাটা যাবে। কিন্তু আমি তা দেই নেই। পরে বুঝনো, সেই তেকনে এমাক আসামি করছে। কিন্তু কোন প্রমাণ দিল না পিবিআই পুলিশ। এটা দেশত (দেশে) কোন বিচের হলো।’এ ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর প্রেসক্লাব গাইবান্ধার পক্ষ থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে গত জুনে ছকু মিয়া নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয় নির্যাতনে। নিহতের ছেলে মোজাম্মেল হক মামলায় অভিযোগ করেন, স্থানীয় দাদনকারবারির ছয় ভাই ১৫ মে হাত-পা বেঁধে রাতভর পিটিয়ে তার বাবার হাত-পা ও দাঁত ভেঙে দেয়। অভিযোগে বলা হয়, ওই দাদনকারবারিদের সঙ্গে ছকু মিয়ার দাদনের টাকা নিয়ে পুরোনো বিরোধ ছিল। ছকুর ছেলে মোজাম্মেলের সঙ্গে দাদনকারবারি মন্টু মিয়ার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক জানতে পেরে মন্টু তার ভাইদের নিয়ে ছকুকে রাতভর নির্যাতন করে। আলমগীর, আংগুর, রনজু, মনজু, সনজু ও মন্টু মিয়া রাতভর ছকুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে কোনো চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে পরদিন ১৬ মে দিনভর তাকে জিম্মি করে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এক সপ্তাহ পর দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীনের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে ‘ছেলের প্রেমের খেসারত’ হিসেবে ছকু মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই টাকার জন্য ছকুর একমাত্র ঘরটিও ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন দাদনকারবারিরা। এরপর তাকে ভিটেছাড়া করা হয়। পরে ছকু মিয়া আশ্রয় নেন গাজীপুরের শ্রীপুরে ছেলের বাসার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জুন মৃত্যু হয় তার। পরে ছকুর ছেলে মোজাম্মেল বাবা হত্যার মামলা করতে চাইলে থানায় তার মামলা নেয়া হয়নি। উল্টো মোজাম্মেল ও তার বোনকে গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করে ওই ছয় ভাই। পরবর্তী সময়ে গত ১৬ জুন ছকু মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে (সাদুল্লাপুর) মামলা করেন। মামলায় ছয় ভাই আলমগীর, আংগুর, রনজু, মনজু, সনজু, মন্টুসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। পরে আদালতের বিচারক শবনম মুস্তারী সাদুল্লাপুর থানাকে মামলা রেকর্ডভুক্ত করে ২৩ জুনের মধ্যে মরদেহ উত্তোলন ও ময়নাতদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। পুরো ঘটনায় শুরু থেকে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউজবাংলা। আদালতের এই নির্দেশনা পাওয়ার পরই ছকু হত্যার প্রধান আসামি মন্টু মিয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে তাদের মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে ছকুর ছেলে মোজাম্মেল, নিউজবাংলার গাইবান্ধা প্রতিনিধিসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় সাক্ষী হন ছকু হত্যা মামলার নয় আসামি। গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে তদন্ত কর্মকর্তা মামলার আসামি মোজাম্মেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান। সে সময় মোজাম্মেলের সঙ্গে গ্রামের আরও কয়েক ব্যক্তিও পিবিআই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের কাছে ঘুষ চেয়েছিলেন এমন অভিযোগ করছেন তারা, কিন্তু ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে আসামিপক্ষ কিংবা গ্রামবাসীর কোনো মতামত নেননি ওই তদন্ত কর্মকর্তা।
Facebook Comments
১৫ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি