স্বপ্নের মতো না কাটলেও ২০২১ সালের শেষটা আনন্দ ও উৎসবেরেই হলো লিওনেল মেসির। ক্যারিয়ারের সপ্তম ব্যালন ডি অর জিতলেন তিনি।
বছরটা কেন স্বপ্নের মতো যায়নি, সেটিই বলে নেওয়া যাক। ২১ বছরের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে বার্সেলোনার সঙ্গে। কাঁদতে কাঁদতে বিদায় বলেছেন প্রিয় ন্যু ক্যাম্পকে। মেসি কেঁদেছিলেন আরো একদিন। ১৪ জুলাই। ব্রাজিলের মারাকানায় যেদিন তাদেরই হারিয়ে জিতেছিলেন আরাধ্য আন্তর্জাতিক শিরোপা।
দেশকে ২৮ বছর পর এনে দিয়েছিলেন কোপা আমেরিকা শিরোপা। ওই টুর্নামেন্টে মাঠে ছিলেন ৬৩০ মিনিট। ৪ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টসেরাও। ধুঁকতে থাকা বার্সেলোনাকেও জিতিয়েছিলেন কোপা দেলরে শিরোপা, লা লিগায় করেছিলেন তৃতীয়ও। ক্লাবটির হয়ে লা লিগাতেই করেছেন ৩০ গোল।
সবকিছুর স্বীকৃতি যেন মেসি পেলেন সোমবার রাতে। ফ্রান্সে এক বর্ণিল সন্ধ্যায় জিতলেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ব্যালন ডি অর। পেছনে ফেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা রবার্ট লেভান্ডভস্কিকে। এবারের ব্যালন জিতে মেসি উঠে গেছেন চূড়ায়। আগে থেকেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার জেতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চেয়ে একটি বেশি ব্যালন ডি অর ছিল তার।
এবার সংখ্যাটা করলেন দুই। সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি অর যে তার- এটি বোধ হয় বলাই বাহুল্য। এখনও খেলছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যালন আছে কেবল একজনের, লুকা মদ্রিচ একবারই জিতেছিলেন ২০১৮ সালে।
আগের ছয়বার মেসি এই পুরস্কার জিতেছেন-২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে। সবগুলোই বার্সেলোনায় থাকতে। এক বছর বিরতি দিয়ে আবারও জিতলেন এই ট্রফি। এখন তিনি পিএসজির।
আরো প্রায় এক দশক আগে বার্সেলোনার কিংবদন্তি ও কোচ ইয়োহেন ক্রুইফ বলে গিয়েছিলেন, ‘মেসি হয়তো ৫, ৬ বা ৭টি ব্যালন ডি অর জিতবে।’ এক দশক পর আর্জেন্টাইন তারকা সত্য করলেন তার কথাই।
১৯৫৬ সালে প্রথমবার দেওয়া হয় ব্যালন ডি অর। তখন কেবল ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কার দেওয়ার নিয়ম ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে সেটি দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় খেলা ফুটবলারকে। সারা বিশ্বের ১৭০ জন ফুটবল সাংবাদিক বেছে নেন ব্যালন ডি অর জয়ীকে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]